রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শপথ গ্রহণের পর শেরপুর ১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ছানুয়ার হোসেন ছানুকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার শেরপুর জেলার প্রবেশধারে হাজার হাজার মোটরসাইকেল, শত-শত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, লেগুনাসহ বিশাল গাড়ীর বহরযোগে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা। এসময় তাকে ফুলেল শুভেচছা দিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিভিন্ন মোড়ে পথসভা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। তারপর জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকেল ৫ টায় শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।
পৌরপার্ক মাঠে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু এমপি।
এসময় এমপি ছানু বলেন, আমি আপনাদের এমপি হিসেবে নয়, কামলা হিসেবে; জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আপানারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছেন, তা আমি কোনদিন ভূলতে পারবোনা। আপনাদের এ ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না। আমি আপনাদের পায়ের কাছে থাকতে চাই, আমি আপনাদের হৃদয়ে থাকতে চাই, আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। আমার কাছে পুরো শেরপুর এক। এখানে পূর্ব-পশ্চিম বা উত্তর-দক্ষিণ বলে কিছু নেই।
সভাপতির বক্তব্যে হুমায়ুন কবীর রুমান বলেন, এখন আর শেরপুর জেলায় কোন অনিয়ম দূর্ণীতি করতে দেয়া হবে না। তারাকান্দি বাজার, সাবরেজিস্ট্রি অফিসসহ সব স্থানে চাদাবাজী বন্ধ করতে হবে। বর্তমান এমপি সাহেবের মাধ্যমে শেরপুরে রেললাইন, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ সকল উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যহত রাখা হবে।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান। এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাটসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিগত ২৫ বছরের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিককে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছানোয়ার হোসেন পরাজিত করেন। জনগনের এ বাধবাঙ্গা জোয়ারের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটান।