পুষ্প -ভ্রমর
মো. রুবাইদ হাসান
দেখিনুকি স্বপ্ন, নাকি ইহা বাস্তব,
ভাবছি যখন একমনে,
ক্ষণিক আগে উল্কা বেশে,
একলা মনে দাগ কাটিলো কোন জনে?
ভাবছি ভাবছি যাচ্ছে প্রহর, ভাবার অন্ত নাই,
কোন জনেরি মুখের বাকে বাগ্ব হারিয়ে যাই।
সেটা উল্কা, নাকি ধুমকেতু, নাকি ছিল পূর্ণেন্দুরই আলো?
সেই আলোতে দগ্ধে মরিয়া পুনর্জন্মে প্রাণ হলো সাদা কালো।
দিনে দিনে যে রঙিন হইয়া ফুলেল হইয়া কলি যে তাতেই ফুটিল।
ভাবিনু তখন গর্ব করিয়া,
পূর্ব গগনের ভানুরে হলফিয়া,
পুষ্পটা যে মোর একার স্বত্ব,
গাইবো শুধু মোরা একক ত্বত্ত্ব
রঙ দেখিয়া মহিত হলে,
শীধুর গরলে যাইবে যে জাত।
পুষ্প পাশে পুত্তিকার তাই সর্বদায় যাতায়াত।
হলেও পুষ্প নাহিকো শিকড়, করিবেনা ঠহর একখানে,
তাইতো পুষ্প করিল ভ্রমণ ভৃঙ্গবিনা দূর বনে,
নাহিকো ভ্রমর, তবে কি পুষ্প জমাবে শীধু তার শনে?
রাখেনি পুষ্প, ঢেলেছে ভূতলে,
মর্যাদারই করিল যে অপমান,
মশক বসিয়া তাহারই পরে,
তৃপ্ত করিয়া করিল শীধু পান।
বুঝিল ভ্রমর, তবে যে হয়েছে অনেক দেরি।
ততক্ষণে পুষ্প মশাই করেছে অনেক মধু ফেরি।
বুঝিল পুষ্প অনেক পড়ে,
শীধুর তো ঠিক তখনই রক্ষে হবে মান,
ভ্রমর যখন বসিয়া করিবে তাহা পান।
মশক তো বসিবে নষ্ট হলে করে যাবে তারে অপমান।
যুঝিয়া বুঝিয়া পাপড়ি ফেলিয়া,
পুষ্প কহিল কতনা দরদ আর রঙ ছড়িয়া,
ভৃঙ্গবিনে তাহার শীধু হইবে যে জহর,
কহিল তাহা মার্জনায় আর নয়ন করছে না ঠাহর।।
ভ্রমর আসিয়া,কলঙ্ক মুছিয়া,মহীয়ান করিল পুষ্পরে,
তফাৎ বাড়িল,তবে শীধুযে এবার জমিল,
পরিলনা কোনো ফোটাই ভূতলে,
এগিয়ে গেল নতুন গল্প রঙ ছড়িয়ে সন্মানে।।।