———–
সেই রমণী
সেই রমণী হেঁটে চলে মেঠোপথ দিয়ে…
যার অপেক্ষায় বসে থাকি আমি সেই রাস্তার মোড়ে
যার হাসিতে উড়ে বেড়ায় আকাশে সাদা মেঘের ভেলা….
যার কান্নায় বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে কদম রেণুর ছড়া।
তুমি আসবে বলে হে রমণী, অপেক্ষায় আছি সারাক্ষণ”
চাঁদের মতো মুখ খানি দেখব বলে মনেতো মানেনা কোন বারণ।
তুমি সেই রমণী যাকে বিশ্বাস করে ভালোবাসে হাজার ও জন”
সে এক স্বপ্নবিলাসী অবোধ বালিকা,তার মন পায় শুধু একজন।
মনকে প্রশ্ন করি কাকে তুমি চাও?
মন বলে সে এক ভিন্ন রমণী!
যার ছোঁয়া পেলে হাজার ও ফুল ফোটে,
যার স্পর্শে পাথর বেয়ে পানি নিচে নামে।
সে এক ভিন্ন রমণী!
যার নামে হয়না কোন রূপ অদ্বিতীয়”
যার কথায় মুগ্ধ হয়ে খেলা করে চন্দ্র সূর্য গ্রহ…
সে আর কেউ না এক ভিন্ন রমণী!
যার আঁখিতে তাকালেই দেখা যায় প্রকৃতির সর্বশ:
যার রূপের সৌন্দর্য দেখলেই মুগ্ধ হয় বিজ্ঞ’।
সে এক ভিন্ন রমণী!
যে প্রখর রৌদ্রে শুকিয়ে পড়েছিল সেই রাস্তার গাছের নিচের ঘাস….
ভোর সকালে তার পায়ের স্পর্শে প্রাণ ফিরে পেল শিশিরভেজা ঘাস।
সে এক ভিন্ন রমণী!
জানিনা কখনো, সেই রাস্তার মোড়ে গাছের নিচে ফিরে আসবে কিনা আর”
প্রতিক্ষণে বসে আছি অপেক্ষায় শুধু তার
জীবন রায় অভি
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।