ঢাকাবুধবার , ২ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

পত্নীতলায় লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত ৫ হাজার গরু, মৃত্যু প্রায় ২ শতাধিক

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২০ জুলাই ২০২৩, ২:১৩ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ মেহেদী হাসান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বা চর্মরোগে রোগের প্রাদুর্ভাব। গ্রাম থেকে গ্রামে দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেড়ে চলায় খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে পশু চিকিৎসক ও খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মশা-মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী লাম্পি স্কিন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত গরু-বাছুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় ও একপর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। জ্বরের সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। একপর্যায়ে আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়।

ধারাবাহিকভাবে এই ক্ষত শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। গরু ঝিম মেরে থাকে ও কাঁপতে শুরু করে। কিডনির ওপর প্রভাব পড়ার ফলে গরু মারাও যায়। আর সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা যাচ্ছে গরু। মারাত্মক এ রোগ প্রতিরোধে পশু চিকিৎসকরা গাঁট পক্স ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। সঠিক ভ্যাকসিন না থাকায় খামারিরা বিপাকে পড়ছেন বলেও জানান তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাবে, পত্নীতলা উপজেলায় প্রায় ১লক্ষ ৭৬ হাজার ৫০০টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ গরু যার সংখ্যা ৫ হাজারেরও ওপরে। এর মধ্যে আক্রান্ত গরুর ৫ শতাংশ মারা গেছে যার পরিমাণ প্রায় ২০০।

শিহাড়া ইউনিয়নের হাফিজা বানু বলেন, আমার ২ টা গরুর মধ্যে একটা গরু লাম্পি ভাইরাসে মারা গেছে আরেকটার শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে যাচ্ছে। আমার গ্রামের আরো ৩ জনের গরু এই ভাইরাসে মারা গেছে।

নজিপুর ইউনিয়নের নছির উদ্দিন বলেন, আমার একটি বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

ঘোষনগর ইউনিয়নের ইসতিয়াক রহমান বলেন, আমার চারটি গরুর মধ্যে একটি এই রোগে মারা গেছে বাকি তিনটি গরুর অবস্থাও খুব খারাপ।

পত্নীতলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, খামারিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশের মতো পত্নীতলা উপজেলাতেও লাম্পি স্কিন রোগের আবির্ভাব ঘটেছে।মশা-মাছির কামড়ে এই রোগ এক পশু থেকে অন্য পশুর শরীরে ছড়ায়। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুর মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৫ শতাংশ হলেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে।

চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগের এখন পর্যন্ত তেমন কোনো চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। আক্রান্ত পশুকে ঘন ঘন স্যালাইন পানি, বেশি বেশি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে। শরীরে জ্বর বেড়ে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।

368 Views

আরও পড়ুন

চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি প্রদান

রামুর কচ্ছপিয়ায় কৃষি উপকরণ বীজ- সার নারিকেল চারা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন

চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াতের লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে নেতৃবৃন্দরা

জুলাই : নতুন বাংলাদেশের অধরা স্বপ্ন !! খানিক মুক্তি জালিমের থাবা থেকে

ঐতিহাসিক বটতলার হামদ নাতের আসর শেষে শিক্ষার্থীরা পেলেন বই

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাশ

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা

পটিয়ায় চাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

চকরিয়া বমুবিলছড়িতে মৎস্যর সচেতনতা সভা ও ভিজিএফ বিতরণ

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হতে হবে – যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূইয়া

স্ক্যাবিস: এক নীরব মহামারী

দলীয় প্রধানরা লড়তে পারেন যেসব আসনে