রামু প্রতিনিধি :
রামুতে সামাজিক বনায়নের গাছ কাঁটার পর পাহাড় দখলে নিতে উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে আগুন দেওয়ায় অভিযোগ।
পুড়ে যাওয়া পাহাড়গুলোতে প্রায় ১৭টি এশিয়ান প্রজাতির হাতির চলাচল ও খাদ্যের একমাত্র উৎস ছিলো। পুড়ে যাওয়ার এক মাস পরেও বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গ্রীন ভয়েস নেতা মুবিনুল হাসান নয়ন বলেন এখনো নিয়মিত পাহাড়ের গাছ কেঁটে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না রাজারকুল রেন্জের দায়িত্বরত কর্মকতা
গ্রীন ভয়েস কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আবারো গাছ কাঁটার পর অন্যান্য পাহাড়গুলোতেও আগুন দিয়ে পরিষ্কার করবে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা।
গ্রীন ভয়েস কক্সবাজার জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক জনাব জাবেদুল আনোয়ার বলেন রাজারকুল রেন্জের অধীন নানা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ও বিলুপ্তপ্রায় এশিয়ান প্রজাতির হাতির একমাত্র খাদ্যের আভাসস্থল ভগবান টিলার এসব পাহাড় ধ্বংস করা হলে পরিবেশের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক জনাব আলমগীর কবির বলেন এভাবে পাহাড়ে আগুন লাগানোর ফলে যেমন করে লতা-গুল্ম পুড়ে ছাই হচ্ছে তেমন করে জ্বলে যাচ্ছে বড় গাছও। পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, আগুন লাগানোর ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে কড়া নজর দেওয়া।