ঢাকাশুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

তারুণ্যের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৬ মার্চ ২০২৩, ২:৩৪ অপরাহ্ণ

Link Copied!

————–
আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৫২ বছর পার করে ৫৩ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে যে বিজয় এসেছিল তার শুরুটা হয়েছিল এইদিনে। দিবসটির ব্যাপারে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকজন তরুণ।

স্বাধীনতা দিবস। বাঙালী স্বজাত্য বোধের প্রথম স্বীকৃতি। ২৫ শে মার্চ রাতে লাখো বাঙালির প্রাণের বিনিময়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ার আত্মপ্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম দিন ২৬শে মার্চ। হাজার বছরের ইতিহাসে কোন কোন বাঙালি কখনো কখনো হয়ত স্বাধীন ছিল, কিন্তু পুরো বাঙালি জাতি স্বাধীন হয়েছিল সত্যি সত্যি একাত্তরের এই ২৬ শে মার্চেই। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীন দেশে সবাই জীবনকে উপভোগ করবে- এটা সবারই কাম্য। কিন্তু আজকাল নাগরিক জীবনের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে দুর্নীতি ও অসাধুতার কারণে। যা আমাদের স্বাধীনতাকে অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই এই স্বাধীনতার মাসে সবার প্রত্যাশা হোক দুর্নীতি ও অসাধুতাকে রোধ করে স্বাধীনতার রঙ্গে জীবনকে সাজিয়ে শহিদদের আত্মত্যাগকে সম্মান করার।

-নূর হোসেন সজীব,
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,২য় বর্ষ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা” এটি এমন একটি শব্দ যার মাঝে লুকিয়ে আছে হাজরো নারীর আর্তনাদ,ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের সংগ্রাম। স্বাধীনতা এমন একটি শব্দ যার মাঝে লুকিয়ে আছে আমাদের নিশ্চিন্তে নিশ্বাস নেওয়ার একটা অধিকার।

আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা দিনটিকে উদযাপন করি অনেক আয়োজনে। যদিও তাদের(মুক্তিযোদ্ধা) অনেক মানুষ আজ আমাদের মধ্যে নেই তবুও তাদের (মুক্তিযোদ্ধা)রেখে যাওয়া স্বাধীনতা আমাদের মাঝে উপস্থিত। মহান সেই অবিসংবাদিত নেতার স্বাধীনতার ডাকে সারা দিয়ে লক্ষ কোটি বাঙ্গালী ঝাপিয়ে পরেছিলো স্বাধীনতার সেই ভয়াল যুদ্ধে। ছিনিয়ে এনেছিলো পাক হানাদারদের কাছে এই “স্বাধীনতা”নামক একটা শব্দ। এই একটা শব্দের ফলেই আমরা আজ পেয়েছি এই সোনার বাংলা। বাঙ্গালীদের তৎকালীন এই অর্জন যেসব আয়োজন (প্যারেড,মুক্তিযুদ্ধকালীন ডিসপ্লে) এর মাধ্যমে বর্তমানে পালন করা হয় তা আসলেই প্রশংসণীয়। এর মধ্যে দিয়েই আমরা আজও বুঝতে পারি বাঙ্গালী মায়ের তখনকার আর্তনাদ, বুঝতে পারি ছেলে হারা বাবার সেই বুক ভরা কষ্ট। আমরা বুঝতে পারি শহিদের রক্তের মূল্য। ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকার কে এই দিবস গুলো উদযাপন এর মাধ্যমে বাংলার ইতিহাস ও বাংলাদেশ নামক নতুন একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অবিসংবাদিত কাহিনি আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য।
-মো:শাহ আব্দুল্লাহ আল মাহদী, অর্থনীতি বিভাগ, ২য় বর্ষ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

আমাদের জাতীয় দিবস হিসেবে যতগুলো দিন রয়েছে, স্বাধীনতা দিবস তার মধ্যে অন্যতম।এই দিনটি শুধু ঐতিহাসিক তাৎপর্যেই অসাধারণ নয়, নবীন জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার শপথে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করার দিন হিসেবেও অনন্যসাধারণ।

মূলত পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সূর্য সেদিন ছিনিয়ে এনেছিল ঠিকই, কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কতটুকু স্বাধীন হতে পেরেছি? কতটুকু পেয়েছি স্বাধীনতার স্বাদ? যে স্বপ্ন নিয়ে আজকের এই দিনে মুক্তির ডাক দেওয়া হয়েছিল আমরা কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছি নাকি ৫৩ বছর পরও আমরা সীমাবদ্ধতার বেড়াজালে বন্দি হয়ে স্বাধীনতার জয়গান গাই। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি;এইগুলো তো রয়েছেই, যা আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ নষ্ট করছে। তার পরও বলি আমরা স্বাধীন। দেশটা স্বাধীন কিন্তু আমরা পরাধীন। আর এই পরাধীনতার দায় আমাদের। আমরা যদি সবাই মিলে এক সুরে আবার বলতে পারি কথা, লড়াই করতে পারি, সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গি, স্বাধীনতার সব শত্রুর বিরুদ্ধে। একাত্তরের মতো আমরা আবার চিন্তা ও মননে হব স্বাধীন।আজ আমাদের অর্ধশত বছরের লালিত সেই স্বাধীনতা অনুভবের জন্য সত্যিই স্বাধীন হওয়া প্রয়োজন। আর যখন স্বাধীনতার আসল সৌন্দর্যে আমরা উজ্জীবিত হবো তখন রক্ষা হবে আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি এখন প্রয়োজন শুধু নিজ স্পৃহা ও সাহসিকতা দ্বারা তা রক্ষা করার অদম্য শক্তি। আর তার জন্য তারুণ্যের জাগরণ অনেক বেশি প্রয়োজন। তবেই আমরা ফিরে পাব স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ।

-আর্বি ইসলাম হৃদি,
লোকপ্রশাসন বিভাগ,২য় বর্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

স্বাধীনতাকে পূর্বের দিকে ফিরিয়ে নিতে চাই। আমরা যখন পাকিস্তানের অধীনে ছিলাম, তখন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল কিসের ভিত্তিতে? তার প্রেক্ষিতটা ছিল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি। এই মুক্তি শুধু এক স্তরের মানুষ চায়নি। ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবী, কৃষক-শ্রমিক—সর্বস্তরের মানুষ চেয়েছিল। সবার ঐকান্তিক ইচ্ছা, আন্তরিকতা থেকে তখন আন্দোলন হয়েছিল। পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। কথা হচ্ছে এখন কি আমরা স্বাধীন? স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দেখা গেল-স্বাধীনতা ও আমি। অর্থাৎ স্বাধীনতাকে সবাই কেমন ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে নিয়ে আসছে। অথচ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু দু-একজন লোকের জন্য ছিল না। এখন সবাই স্বাধীনতাকে নিজের কাছ থেকে নিজের মতো করে দেখার চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমাদের দেশে নয় কোটি লোক কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এক কোটি লোক ভূমিহীন। দুই কোটি লোকের বাসযোগ্য সরকারি জায়গা এখনো পতিত ভূমি হিসেবে আছে। স্বাধীনতার পরে আমাদের সামাজিক- অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক কী উন্নতি হয়েছে? অর্থনৈতিকভাবে গুটিকয়েক মানুষ উন্নতি লাভ করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু যাঁরা আমাদের মূল, আমাদের কৃষক, যাঁদের নিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল, তাঁদের জন্য আমরা কিন্তু কিছুই করিনি।

-সাফায়েত হোসাইন ইমরুল,অর্থনীতি বিভাগ,
১ম বর্ষ,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা শুধু একটি শব্দ না, শব্দটি আমরা যত সহজে উচ্চারণ করি এটি অর্জন করা এত সহজ ছিল না। এটি অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে খুব চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। দিতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা কি স্বাধীনতাকে আমাদের বুকে ধারণ করতে পেরেছি? স্বাধীনতাকে পৌঁছে দিতে পেরেছি ১৬ কোটি মানুষের কাছে?

অনুতাপের বিষয় হচ্ছে আমরা স্বাধীনতাকে কেমন যেন একটি দিনে একটি অনুষ্ঠানে আবদ্ধ করে ফেলেছি।বর্তমান তরুণরা না স্বাধীনতা কি তা জানে, না জানতে চায়, না বুকে ধারণ করে, না করতে চায়। দেশ প্রেমটা আমাদের কাছে কেমন যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বিদেশি সংস্কৃতিতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে আমাদের ফিরতে হবে দেশ মাতার কাছে, দেশ প্রেমের কাছে, যে দেশ প্রেমের কারনে বুকের তাজা রক্ত দেয়া যায় হেসে খেলে ।

ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।আমাদেরকে স্বাধীনতার মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হতে হবে,স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে, হতে হবে দেশ প্রেমিক। তবেই না আমার দেশ হবে বিশ্বের বুকে চির বিস্ময়, স্বাধীনতার স্বাদ পাবে ১৬ কোটি মানুষ।

-মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,
২য় বর্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা মানে নিজেকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছড়িয়ে দেওয়া, স্বাধীনতা মানে নিজেকে আকাশের বিশালতার সাথে তুলনা করা, স্বাধীনতা মানে ডানা না থাকা সত্ত্বেও উড়তে পারা। স্বাধীনতা মানে নিজের মতো করে বাচাঁ।
নিজের মতো করে বাচঁতে গিয়েই তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতা শব্দটির অবমাননা করছে। যা খুশি তা করে,সস্তা উপস্থাপনের মাধ্যমে স্বাধীনতা শব্দটির অপব্যবহার করছে।
প্রকৃত স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের বেচেঁ থাকাটা যেন অর্থবহ হয় তার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।জীবনটা কষ্টের বেড়াজালে যেন আটকে না থাকে তার নিশ্চয়তা প্রদান করা। নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাবতীয় অধিকার নিশ্চিত করাই হচ্ছে প্রকৃত স্বাধীনতা।
-রকি উল হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ১ম বর্ষ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবি প্রতিনিধি
কাজী ফাহমিদা কানন

640 Views

আরও পড়ুন

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি !! 

শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি ॥ দেবশীষ- সভাপতি, মেরাজ সা: সম্পাদক

রাজশাহীতে বিএসটিআই’র অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা।

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী কানন মিয়া গ্রেফতার

আদমদীঘিতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

BIIHR ও অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত: নেতৃত্বে জবি শিক্ষার্থী ফয়সাল

পেকুয়ায় বনবিভাগকে ফাঁসাতে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন বনদস্যুরা

পেকুয়ায় বনবিভাগকে ফাঁসাতে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন বনদস্যুরা

কুতুব‌দিয়ার ইউ‌পি চেয়ারম্যান আজমগীর কারাগা‌রে

দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ দুই ইয়াবা কারবারি গ্রেফতার

দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস এর ঢাকায় ফেরা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন আলো এর দাফন সম্পন্ন