পৌঢ়া তোমায় ঠেলছে দূরে
আলস্য ডাকছে কাছে,
তারুণ্যের সেই স্পৃহা তোমার
এখনো কি আছে?
সমাজ তোমায় ঠেলছে দূরে
বয়স ডাকছে কাছে,
আঠারোর সেই বেপরোয়া জীবন
এখনো কি আছে?
যৌবনের সেই রক্তের টগবগি
অসহ্য যন্ত্রণা,
কর্ণে কি বাজে তব?
সেই আঠারোর মন্ত্রণা।
সব কিছু ছাড়ছে তোমায়
দম্ভ যাচ্ছে চলে,
ধীরে ধীরে দেশ,জাতি
যাচ্ছে তোমায় ভুলে।
যদিও শিকড় ছড়িয়ে সমাজে
দেহটা রোগ জীবাণুর বাসা,
কর্মক্ষম মানুষ ভুলছে তোমায়
ছাড়ছে তোমার আশা।
বিষাদ ভরা মন তোমার
ক্রন্দন করে ভেবে,
গড়তে জাতি কত ক্লেশ তব
ভুলছে কেমনে সবে।
তিমিরের এই কালো ছায়া
ক্ষত করছে মন,
জীবন এখন বৃথা তোমার
চাইছে সংবরণ।
সাবধান,হে কলি মানব
যার জন্য করছো লড়াই,
থাকবে না এই সোনার দেহ
থাকবে সেই বড়াই।
প্রকৃতির এই চলমান ধারা
চলবে সারা কাল,
যাদের তোরা করছো হেলা
ধরবেই তাদের হাল।
সময় থাকতে সদয় হও
স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি,
বৃদ্ধা-যুবক সবাই সমান
অব্যাহত রাখো সেই রীতি।
ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।