ইবি প্রতিনিধি :
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেলা এবং বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মৃতিচারণসহ সারাদিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে রবীন্দ্র-নজরুল অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। এসময় মৃত্যেঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়। পরে শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে সমবেত হয়।
এসময় পুরনো সতীর্থদের পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। কেউ কেউবা জড়িয়ে ধরছেন একেঅপরকে। কেউ কেউবা আড্ডায়, উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিলু রয়ের সঞ্চলনায় এবং অ্যালামনাইয়ের সভাপতি সায়েদ এ. মনোওয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হারুন-উর-রশীদ আসকারী, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শাহিনুর রহমান এবং ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান প্রমূখ। এসময় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শাহিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হারুন-উর-রশীদ আসকারী বলেন, ডিজিটাল এ যুগে বা ডিজিটাল রেভ্যুলেশনের এই যুগে ইউসলেস হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের যে সাইড ইফেক্ট সেটি যদি আমাদের শ্রমবিমুখ, শ্রমহীন এবং কর্মবিমুখ করে তোলে তখন আমাদের অন্যভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। সেজন্য আমাদের একের অধিক স্কিলফুল হতে হবে। একজন ইংরেজি শিক্ষক একি সঙ্গে একজন কপি এডিটর হিসেবে স্কিল যুক্ত করে। কিংবা এডিটর হিসেবে বা প্রুফ লিডার হিসেবে স্কিল যুক্ত করে কিংবা একজন কন্টেন্ট রািটার হিসেবে স্কিল যুক্ত করে হোয়াটএভার ডিপেন্ডস অন দেয়ার মেইন জবস।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রদের মধ্যে অনেক বড় বড় আমলা রয়েছে যেগুলো আমাদেরই এচিভমেন্ট। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সবাইকে আমরা প্রথমত এবং শেষমত একজন মানুষ। আমাদের মা-বাবা আমাদেরকে এই তথাকথিত সমাজে কষ্ট করে গড়ে তুলছেন। তাই নিজেদেরকে আমলা নয় এই দেশের মানুষের মনে করতে হবে। এদেশের টেক্সপিয়াস মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। জীবনে একজন আমলা বা একজন সিইও হওয়াই আমাদের জীবনের শেষ লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, অ্যালামনাইরা শুধু একটি বিভাগের সম্পদ নয়, তারা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ, সমগ্র জাতির সম্পদ। তিনি বলেন, আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্বিত। আমি চাই আমাদের অ্যালামনাইরা দেশের সব সেক্টরে সুনামের সাথে কাজ করুক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনুক।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশন মিলনায়তনকে মাতিয়ে তোলে।