আমার প্রিয় ক্যাম্পাস,
এখানে ভোর হয় পাখির কলরবে,
প্রকৃতির রুপে সবুজের সমারোহে।
এখানে সূর্য উঠে সম্ভাবনার,
চর্চা হয় জ্ঞান অর্জনের, নৈতিকতার।
এখানে প্রতিবাদ হয় অন্যায়ের,
শপথ করানো হয় দেশ প্রেমের।
এখানে প্রতিবাদ হয় কবিতায়,
এখানে প্রতিবাদ হয় নীরবতায়,
এখানে প্রতিবাদ হয়, চায়ের কাপে ক্যাফেটেরিয়ায়।
এখানে অন্যায়ে ফুসে উঠে ক্যাম্পাসের জনতা,
গড়ে তোলে একতা,
ক্যাম্পাসে নেই কোন নৃশংসতা।
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো পুষ্প শোভিত
অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর বেরোবির ক্যাম্পাস।
এখানে সবুজে ঘেরা,নান্দনিক
অপরুপ সৌন্দর্যের হরেক রকম গাছ।
আমার বেরোবি বৃক্ষের জাদুঘর।
প্রকৃতির আশীর্বাদে রূপ ও শিক্ষার বাতিঘর।
আমার প্রিয় ক্যাম্পাস,
এখানে আছে চারশো প্রজাতির
৩৬ হাজার রকম গাছ।
শাল,অর্জুন,পলাশ,কাউফল,
সফেদা, আলু বোখরা,আমলকি আশফল।
বট,বাকুড়,কাঠবাদাম, দেবদারু,
বিলাতি গাব,জাতনিম,বুদ্ধ নারিকেল, সোনালু।
এমন হাজারো গাছে বেরোবি বৃক্ষভৃমি,
ক্যাম্পাসের রুপের ঝলকে মুগ্ধ আমি।
ইট বিছানো রাঙা পথের
দুই ধারে,কৃষ্ণ চূড়ার সারি।
কৃষ্ণচূড়ার রুপে হৃদয়ে প্রেমের ছড়াছড়ি,
সবুজের আবরনে ঢাকা নীল আকাশ।
হাতে হাত,নীল শাড়ি, সাথে নীল পান্জাবী,
দোলা দেয় মনে বসন্তের বাতাস।
কি অপরুপ তুমি বেরোবি।
বিজয় সড়কের রুপে,
প্রেম জাগে মনে প্রকৃতির নিয়মে।
কথা হয় মনে মনে,নয়নে।
একাকিত্বের হাহাকার,
থাকে না আর।
বেরোবি,তোমার রুপ সবার।
—–
আলআমিন
শিক্ষার্থী
মার্কেটিং বিভাগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।