ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

আবারো লিটনকেই চান রাজশাহী নগরবাসী

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২০ মার্চ ২০২৩, ৯:১৮ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহী।

রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আভাস অনুযায়ী দেশের ৫ সিটির নির্বাচন আগামী মে-জুনে। এ পাঁচটি সিটির মধ্যে রাজশাহীও রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটের বার্তা রাজশাহীতেও পৌছেছে।

আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে রাজশাহীতে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হলেও এখনো কোন পক্ষের কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দেন নি। এ ক্ষেত্রে সাধারণ রাজশাহীবাসী মনে করছেন বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই এখানে। রাজশাহীবাসী আসন্ন নির্বাচনেও সিটির দায়িত্ব লিটনকেই দিতে আগ্রহী। যদিও খায়রুজ্জামান লিটনও এখন পর্যন্ত ভোট নিয়ে কোন মতামত প্রকাশ করেন নি। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটি যা সিদ্ধান্ত দিবেন সে মোতাবেক পদক্ষেপ নিবেন তিনি।

সর্বশেষ গত ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি করোপরেশন নির্বাচনের পর প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে নগরীতে। ফলে রাজশাহী নগরীর রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র সবখানেই লেগেছে দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোঁয়া। বলা যায়, লিটনের উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পুরো রাজশাহী নগরী। মেয়র লিটনের পরিকল্পনায় রাজশাহী নগরী হয়ে উঠেছে দেশের পরিচ্ছন্ন ও অনন্য এক নগরীতে।

দেশ-বিদেশের মানুষ এসে এখন রাজশহীর পরিচ্ছন্নতায় মুগ্ধ হন। বদলে যাওয়া রাজশাহী নগরী দেখে চমকে উঠেন বাইরের মানুষ। দেশজুড়ে বদলে যাওয়া রাজশাহী নগরীর সুনামও ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। পাশাপাশি সুনাম কুড়াচ্ছেন বর্তমান মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ফলে চলতি বছরেই আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র লিটনের বিকল্প হিসেবে যেমন ভাবছেন না নগরবাসী, তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে অপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবেই মনে করছেন।

তবে গত ২০২১ সালের নবেম্বরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ পাওয়ার পর থেকে সিটি করপোরেশনের প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। আগামী সিটি নির্বাচনে তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা, বা তাঁকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে কিনা এসব নিয়ে এখনো ধোঁয়াসা রয়েছে নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেই।

দলের মধ্যে এখন চাউর হয়েছে, মেয়র লিটনকে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করা হলেও সিটি নির্বাচনে সরকার দলের প্রধান প্রার্থী হিসেবে মেয়র পরিবার থেকেই আসতে পারে। নগর উন্নয়নে তার অবদানকে সামনে রেখে লিটন পরিবারের বাইরে আপাতত কাউকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিবে না বলেও মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও এমনটি ভাবছেন।
এদিকে, সিটি নির্বাচন নিয়ে এখনোই কিছুই ভাবছেন না বিএনপির নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচনে তাঁরা যাবেন না বলে গোষণা দিয়েছেন, রাজশাহীতে সেটি বলবত রাখবেন বলেও জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। যদিও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন এমন আভাসও মিলেছে। সে ক্ষেত্রে সাবেক দুই মেয়র মিজানুর রহমান মিনু অথবা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রার্থী হতে পারেন।
রাজশাহীতে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মতো অন্য কোনো দলের তেমন প্রার্থীও নেই। নানা ভাগে বিভক্ত জাতীয় পার্টি থেকেও কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। ওয়াকার্স পাটিও এ ক্ষেত্রে অনগ্রসর। তবে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ছাড়া কাউকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

যদি মেয়র লিটন আগামীতে যদি প্রার্থী না হন কেবল এমন শর্তেই নতুুন কেউ আসতে পারে ভোটের লড়াইয়ে। এরমধ্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনপত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রার্থীর হওয়ার ইচ্ছে পোষন করেছেন।

আওয়ামী লীগের সূত্র মতে, সিটি নির্বাচনে কেবলমাত্র বর্তমান মেয়র এএইচএম কায়রুজ্জামান লিটনের অবর্তমানে অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারেন। আর মেয়র লিটন প্রার্থী হলে সবাই তার পক্ষেই থাকবেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, রাজশাহী সিটির জন্য বর্তমানে খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই। তিনি যদি নির্বাচন না করেন অথবা তার পরিবারের কেউ করতে চান এ ক্ষেত্রে কিছুই বলার নেই। আর মেয়র লিটন ও তার পরিবারের কেউ ভোট করতে না চাইলেই কেবল তিনি প্রার্থী হওয়ার জন্য আদেন করবেন। বর্তমানে মেয়র লিটনের বাইরে তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর নাম এখন আগে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগামী মে-জুনে নির্বাচন হবে রাজশাহী সিটির। তবে তফশিল ঘোষণা না হওয়ায় এখনো প্রকাশ্যে রাজশাহীর কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় নামেননি। তবে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে।

আসাদ বলেন, ‘আগামী সিটি নির্বাচনে আমি অংশ নিতে চাই। বর্তমান মেয়র প্রার্থী না হলে এ নির্বাচনে আমি অংশ নিব। এর জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার র্দীদিনের সম্পর্ক হলেও এখন মহানগরবাসীর জন্য কিছু করতে চাই।’
রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ‘রাজশাহী নগরীর যেন উন্নয়ন হয়েছে গত ৫ বছরে, সেই হিসেবে বর্তমান মেয়র লিটনের কোনো বিকল্প নাই রাজশাহীতে। আগামী নির্বাচনে তাঁর সিদ্ধান্তই এখানে বড় সিদ্ধান্ত।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন বলেন, ‘বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। তিনি দলের নীতি-নির্ধারণ পরিষদের সদস্য। আগামী নির্বাচনে তিনি অংশ না নিলেও তিনিই সিদ্ধান্ত দিবেন এখানে কে নির্বাচনে অংশ নিবে। আমরা তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছি।’

রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমি নিজেই জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকারের আওতায় হওয়ায় জোটগত ভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নাই। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচনের অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদিও রাজশাহীবাসীর অনেকে এই নেতাকে চিনেন না।

রাসিকের সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমরা সংসদ নির্বাচনের বাইরে কোনো নির্বাচন নিয়ে এখন ভাবছি না। এই সরকারের অধিনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নিব না। আগামী সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধিনে হওয়ার ঘোষণা আসার পরেই আমরা অন্য নির্বাচন নিয়ে ভাববো। আমি বা আমাদের সংগঠনের কোনো প্রার্থীও রাজশাহী সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি জয়ী হওয়ার পরে রাজশাহী নাগরীকে ঢেলে সাজানো হয়েছে উন্নয়নের মাধ্যমে। এখনো তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। এ প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হলে রাজশাহী নগরী আরো নতুন রূপ লাভ করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী নগরীর প্রতি যে সুদৃষ্টি রেখেছেন, সেটি আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা রাখি। আর সেটি হলে আরো নতুন যে কয়েক বড় প্রকল্প আমরা হাতে নিয়ে রেখেছি, সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।

এসব দিক বিবেচনা করে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগসহ সাধারণ নগরবাসীও আমাকে আগামী নির্বাচনে আবারও মেয়র পদে অংশগ্রহণ করতে চাপ দিচ্ছেন। তবে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবে আমি কাজ করব।

124 Views

আরও পড়ুন

কুতুব‌দিয়ার ইউ‌পি চেয়ারম্যান আজমগীর কারাগা‌রে

দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ দুই ইয়াবা কারবারি গ্রেফতার

দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস এর ঢাকায় ফেরা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন আলো এর দাফন সম্পন্ন

দোয়ারাবাজারে বালিউড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

যৌথ-বাহিনীর কেএনএফ বিরোধী অভিযান বন্ধের দাবীতে রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ’র অবরোধের ডাক

রাজশাহীতে আদালতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দুই বোন

রামুতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভা সম্পন্ন।

হকনগর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ আলম মিয়া

টঙ্গী’তে সালাতুল ইসতিস্কা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায়

হিটস্ট্রোকে এবার মৃত্যুবরণ করলেন পুলিশ সদস্য