আল মামুন, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোক্তাহারুল নামে এক ৭ম শ্রেণীর ছত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আইহাই ইউনিয়েনর আইহাই গ্রামে। মোক্তাহারুল উপজেলার আইহাই গ্রামের মুমিনুলের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রাতের অন্ধকারে ১লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান, জনৈক আশরাফ আলী ও মাহমুদুর রহমান বাবু’র বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানান, গত ২রা ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে মোক্তাহারুলের বাসায় কেউ ছিলোনা। এই সুযোগে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে পাশের বাড়ীর ৪বছরের শিশুকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার সাথে কুকর্ম করে। পরে ওই দুঃশ্চরিত্র মোক্তাহারুল শিশুটিকে বলে “ তুই এসব নোংরা ধুয়ে আয় আমি দোকান থেকে বিস্কুট নিয়ে আসছি”। এই বলে সে দোকানের দিকে যায়। অপরদিকে ওই শিশু পুকুর পাড়ে গিয়ে তার মাকে নোংরা গুলো ধুয়ে দিতে বলে । তার মা ব্যাপারটি বুঝতে পারলে ওই শিশুর কাছে ঘটনা জানতে চায়। শিশুটি তার মাকে সব কিছু বলে দেয়। এমন সময় ওই শিশুর মা মোক্তাহারুলকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে চড় থাপ্পর মারা শুরু করলে সেখান থেকে ওই ছেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় মূহুর্তে গুঞ্জন ছড়ায়। এ ঘটনার পর মেয়ের অবিভাবককরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তারা থানায় আসলে শিশুটিকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য পাঠানো হয় এবং পরে থানায় এসে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন থানার অফিসার ইন-চার্জ। কিন্তু পরে শিশুর অবিভাবকরা থানায় আর আসে না। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা জানতে পারে গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান, জনৈক আশরাফ আলী ও মাহমুদুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে মিমংসা করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোক্তাহারুলের ভাই মোজাহারের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যনের নের্তৃত্বে মিমংসা হয়েছে বলেও জানান। কিন্তু টাকার কথা স্বীকার করেননি।
এবিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মাহমুদুর রহমান বাবুর সাথে কথা হলে তিনি মিমংসার বিষয়টি স্বীকার করেন। কত টাকা ও কোনদিন মিমংসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে ৪নং আহাই ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু বলেন “ মেয়ের পরিবার আমার কাছে আসলে আমি থানায় পাঠিয়ে দেই। কারন এসব মামলা তদারকি আমরা করতে পারি না।”
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন “ মেয়ের পরিবার থানায় আসলে আমি মেডিক্যাল চেকআপের জন্য পাঠাই। পরে তারা আর থানায় আসেনি।” ১লাখ ২০ হাজার টাকায় মিমংসা হয়েছে এরকম বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন “ কেউ যদি মিমংসা করে সেটা তার ব্যাপার। তবে এটি অমিমাংসিত একটি মামলা।”