|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
দূর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্ত সড়ক প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি সোমবার ( ৩০ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙামাটির রাজস্থলী থেকে দুমদুম্যা সাইচল অংশে নির্মানাধীন ১৩৭ কি:মি দূর্গম সীমান্ত সড়ক প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় সেনা প্রধানের সাথে লেঃ জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ারি হাসান, এসবিপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি, মেজর জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিব উল্লাহ, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, এইচডিএমসি ও রাঙামাটি ব্রিগেড কমান্ডার সহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্ত সড়ক প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে আসা সেনা প্রধান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকা গুলোতে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশেও সীমান্ত সড়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলে কাজ করা কষ্টসাধ্য হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সড়কের কাজ সমাপ্ত করা হবে। এই এলাকায় যারা কাজ করছে তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমার পরিদর্শণে আসা।
সেনা বাহিনী প্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রথম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় প্রকল্পটির কাজ চলছে।
মোট ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে পার্বত্য জেলাগুলোর সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হবে। এ ছাড়া সীমান্তে দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা (মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার) বন্ধ হবে।পাশা পাশি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতেও ভূমিকা রাখবে। #