——–
সুন্দর এই ধরণীর মাঝে,জীবনের সূচনা লগ্নে;
মোর একটি ধ্বনি বাজে হৃদয়ের স্পন্দনে।।
কত না কাটিয়েছি শৈশব গাঁথা জীবন
পরীর সাথে,এ গাঁও ও গাঁও ঘুরে-ফিরেছি
দিগদিগন্তে, কত না স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা
ছিল দু’জনার সালিসে। বড় হওয়ার জন্য
পাড়ি দেই কোন এক দূর দেশে,
বিদ্যা, শিক্ষা, জ্ঞান আহরণ করব,
এই আকিঞ্জন ছিল মোর হৃদয়ে।
পরী ছিল মোর পড়া -লেখার সাথী
দু’নয়নের মণি, এক পলক না দেখিলে
অন্তর হতো অস্থির,
দূর দেশে থাকি আমি হঠাৎ পরীর বিয়ে,
বর অনেক ভালো ছেলে ব্যবসা করে গঞ্জে।
যখনি মোর মনোরথ হয় সব পূর্ণ,
পরীর স্বামীর গৃহের পাশে বিদ্যালয়ে
আমার শিক্ষকতার সম্ভাষণ,
পরীর স্বামী পলাশ তার সাথে পরিচয়,
তার বাড়িত যেতে মোরে দেয় নিমন্ত্রণ।
বাড়িতে গিয়েই আমি চুড়ির আওয়াজ পাই,
অপলক দৃষ্টিতে পরী দেখে আমায়,
গৃহে ফিরে মোর হৃদয়ে একটি ধ্বনি বাজে,
নিজে চাইলে পরী তোর সবই হতো।
এভাবেই আশার অনলে অনেক
কিছুই হারিয়ে যায়, তবুও মানুষ
বেঁচে থাকে নতুন আরেকটি
সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
কাল্পনিক জীবন নিয়ে লেখা
মোঃ জয়নাল আবেদীন,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।