ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

কুষ্ঠ রোগীর চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি না হয়ে, সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:০৯ অপরাহ্ণ

Link Copied!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি,

প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ রোববার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০০টি দেশে কুষ্ঠরোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় এখনই কাজ শুরু করি, কুষ্ঠরোগ নির্মূল করি। মূলত কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।জনবিচ্ছিন্ন কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃগ্রহণ, সর্বপ্রকার কুষ্ঠজনিত কুসংস্কার দূরীকরণ, এই সকল লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে জনসাধারণ এবং কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য ও শিক্ষা প্রদান করাই হচ্ছে এই দিবসের লক্ষ্য।

রবিবার বিকাল ৩ টায় ৭০তম বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট গবেষক ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন দুরারোগ্য এই ব্যাধি একসময় মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল। চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। কুষ্ঠ মানবসভ্যতার একটি প্রাচীনতম রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যেটিকে লেপ্রসি বলা হয়ে থাকে। মিসর, চীন ও ভারতের প্রাচীন ইতিহাসেও এ রোগের উল্লেখ রয়েছে।

ভয়, কুসংস্কার ও লজ্জার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি এ রোগ প্রকাশ করতে চান না বা চিকিৎসা নিতে কুণ্ঠাবোধ করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে ‘সমাজ কুষ্ঠ রোগীকে ভয় পায় আবার কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি সমাজকে ভয় পায়’।কুসংস্কারই ‘কুষ্ঠ’র চিকিৎসা ও প্রতিরোধে মূল প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসা নিলে এটি পুরোপুরি দূর হতে পারে। এই নিরাময়যোগ্য রোগ সম্পর্কে প্রচলিত কুসংস্কারগুলোর একটি হচ্ছে ‘পাপিষ্ঠ ব্যক্তি বা তাদের বংশধরগণ’ এ রোগে আক্রান্ত হয়। বাস্তবে ‘মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি’ জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী।ঘনবসতিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এ রোগ ছড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ডা.এম এম মাজেদ আরো বলেন,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি সারাদেশে পর্যায়ক্রমে রোগীদের অধিকার ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত কাজ করে যাচ্ছে। আজ বেশ কিছু অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে।আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশে ২০ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি ডাক্তার এবং সেবা প্রত্যাশী রোগীদের সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুব উপযোগী করা সম্ভব।

ডা.এম এম মাজেদ আরো বলেন বাংলাদেশে দিবসটি পালনের গুরুত্ব রয়েছে, কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে কুষ্ঠমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্র মতে, দেশে ২০২১ সালে মোট কুষ্ঠরোগী ছিলেন ২ হাজার ৮৭২ জন। তাদের মধ্যে রোগটির কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েছেন ১৬৫ জন। ২০২০ সালে মোট ২ হাজার ৭২৪ রোগীর মধ্যে প্রতিবন্ধী হয়েছেন ১৩৭ জন। ২০১৯ সালে মোট কুষ্ঠরোগী ছিলেন ৩ হাজার ৬৩৮ জন এবং প্রতিবন্ধী হয়েছেন ২৫২ রোগী। ২০১৮ সালে মোট রোগী ছিলেন ৩ হাজার ৭২৬ জন। তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী হয়েছেন ২৯৭ জন। ২০১৭ সালে ২ হাজার ৭৫৭ রোগীর মধ্যে ২৯৬ জন, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ১ রোগীর মধ্যে ১৯২ জন।২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট কুষ্ঠ রোগীর ৬০ শতাংশ রয়েছে ভারতে। তারপরেই রয়েছে ব্রাজিল-১৩ শতাংশ। কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা অনুপাতে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে প্রতি ১০ হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে নথিভুক্ত কুষ্ঠ রোগীর হার একজনের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এবং ১৯৯৮ সালে ১১ হাজার ৯১ রোগীর মধ্যে ১ হাজার ২৫২ জন প্রতিবন্ধী হয়েছেন।১৯৮৫ সালে ৫২ হাজার ১৬১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ ছিল প্রতিবন্ধী। দেশে কুষ্ঠ রোগী কমলেও এখনো এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে ৯ জেলা। অন্যান্য জেলার তুলনায় এসব জেলায় সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে রংপুর বিভাগের ছয়টি জেলা রয়েছে। জেলাগুলো হলো- রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়। এ ছাড়া মেহেরপুর, মৌলভীবাজার ও জয়পুরহাটেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হচ্ছে।এসব জেলায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে পাঁচজন বা তার অধিক কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

আমাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি বছর প্রায় ৩৫০০ কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং এর মধ্যে প্রায় ৪০০ রোগী সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে।অথবা প্রায় ১২০ উপজেলায় এর বিস্তার আছে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

তাই আক্রান্ত হলে হীনমন্যতা ও কুসংস্কার দূরে ঠেলে দিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিন। নিজে সুস্থ থাকুন, সমাজ ও পরিবারে বসবাস করা অন্যদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করুন।

231 Views

আরও পড়ুন

নাগরপুরে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

শেরপুরে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও তার পরিবারকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে–খামেনি

নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি পরিবারের মাঝে

প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার

শার্শায় প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

নাগরপুরে নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে।

নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত

ঈদসংখ্যার গুরুত্ব কি হারিয়ে যাচ্ছে?

যদুনাথ রি-ইউনিয়ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৫ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন