|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটিতে এনজিও’য় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে হায় হায় কোম্পানির ৩ সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জাল কাগজপত্র ও নগদ টাকাসহ আটক ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ নাসির উদ্দিন (৪৩), মোঃ মোজাম্মেল হক(২৭) ও পল শ্যামল ত্রিপুরা।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটি শহরের কল্যানপুর এলাকায় ”শেয়ার পয়েন্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি” নাম দিয়ে অফিস খুলে বসে প্রতারকদ্বয়। তাদের লোকবল নিয়োগের অজুহাতে ৬ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি নগদ ২৭ হাজার টাকা হারে আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু চাকরি দেয়া বা এনজিও কার্যক্রমের কোন লক্ষণ না দেখে প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পারেন তারা। এরপরে ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিথুন চাকমা বাদী হয়ে সোমবার কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে দু’দফা অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে শহরের কল্যানপুর ও তবলছড়ি থেকে আটক করতে সক্ষম হয় বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রূপক কর্মকার জানান। পুলিশের অভিযানে আটক তিন প্রতারক হলেন, কুমিল্লা জেলার গোপাল নগর’র আয়েত আলীর ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলার শোভনালীর মোঃ নফুর সরদার’র ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হকসরদার ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙার সুরজ মনি ত্রিপুরার ছেলে পল শ্যামল ত্রিপুরা। সোমবার দিনগত রাতে আটক তিন জনের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজর ৮ শ টাকা ও ভুয়া এনজিও’টির বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন কথিত এনজিও’টির একাউন্টস অফিসার এবং অডিট অফিসার বলে দাবী করেছে । তিন প্রতারককে সোমবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে, বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির অলিগলিতে ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ে ডজন জডন এনজিও’র কার্যালয়। অতি সম্প্রতি স্থানীয়দের ৬০/৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি এনজিও নামের হায় হায় কোম্পানি। এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টরা একটু নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।