মোঃ শাহীন,
নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির জোরদার ও সাড়াশি অভিযানের ফলে গুটি কয়েক গরু চোরাকারবারী ও কিছু অবৈধ গরু ব্যবসায়ীরা মরিয়া হয়ে ওঠেছে, বিজিবির অভিযানকে বিতর্কিত করতে। পাশাপাশি ঐ সব চোরাকারবারিরা বিজিবির অভিযানের বিরুদ্বে চালাচ্ছে অপপ্রচার।
তারা নানা কৌশলে এসব করছে সীমান্তে বিজিবির ধারাবাহিক অভিযান ধীরগতি করতে।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক সীমান্ত এলাকায় ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথাবলে জানা যায়, এ সব চোরাকারবারীরা সীমান্ত পয়েন্টে রাত জেগে পাহারা বসিয়ে বিজিবিকে নজরদারী করতেও সচেষ্ঠ রয়েছে বলে সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক বাসিন্দারা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সীমান্তে উত্তেজনার সূযোগকে কাজে লাগিয়ে গবাদি পশু পাচারের জন্য চোখের ঘুৃম হারাম করেছে পাচারকারী এই চক্রটি।
তারা মিয়ানমার থেকে অবৈধ পন্থায় গরু,মহিষসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য পাচার শুরু করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তখন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাকারবারীর সংখ্যা ছিলো হাতে গোনা।
সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত নুরুল আলম সওদাগর জানান,শুরুর দিকে গরু-মহিষ চোরাকারবারী সংখ্যা ছিলো ৩০ জনের মতন। তবে গরু সিন্ডিকেটের শ্রমিকের সংখ্যা ছিল শতাধিক।
এখন এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সীমান্তের অধিকাংশ ঘরে গরু ব্যবসায়ী ও পাচার কারীরা সতর্কতার সাথে সীমান্ত রক্ষীদের উপর নজরদারী করছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সদস্যদের অভিযান জোরদার করার ফলে চোরাকারবারি
রাতজেগে সীমান্ত পাহারা দিয়ে আসছে এই শীতের মাঝেও।
বিগত দিনে দূর্গম পাহাড়ি পথ, ছড়া,নালা পাহারা দিতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে ১১ বিজিবির
আবদুল মান্নান নামের একজন নায়েব সুবেদার নিহত হয়েছে।
সীমান্তের জামছড়ি এলাকার বাসিন্দা, জাকের আহমদ ফুলতলী,বিছামারা ও কম্বনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাকের আহমদ,নজির আহমদ,সরওয়ার কামাল ও ফরিদুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান,বিজিবি মিয়ানমারের অনেক গরু জব্দ করেছে তাদের এলাকা থেকে।
এ সব ছাড়িয়ে নিতে কারবারীরা ভূঁয়া টেক্স/টোল বানিয়ে বিজিবিকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে আসছে।
১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার ও লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম বলেন, মূলত সীমান্তে চোরাকারবারীদের তৎপরতা বন্ধের উপক্রম হওয়ায় তারা এখন বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাতে অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,এ চোরাচালানের সাথে জড়িতরা সীমান্তের হাট-বাজার সমূহের ইজারাদারদের কাছ থেকে কৌশলে টোল-টেক্সের রশিদ নিয়ে নির্বিঘ্নে গবাদি পশু নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রতিনিয়ত বিজিবি তা প্রতিহত করে আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য ১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রেজাউল করিম যোগদানের পর থেকে সীমন্ত সুরক্ষার পাশাপাশি গত ৩ মাসে পৌঁনে ৪ কোটি টাকার অধিক গবাদি পশু জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।