নাইম ইসলাম কাউসার,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই নবান্নের আয়োজন ছিল সরকারী তিতুমীর কলেজে
বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে তিতুমীর কলেজের বরকত মিলনায়তনের সামনে, তিতুমীর নাট্যদল এই বর্ণিল নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে। এসময় হরেক রকমের জামদানি শাড়ি,ঐতিহ্যগত মাটির তৈরি নকশা হাড়ি পাতিল ও পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো ক্যাম্পাস।
বুধবার সকালে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ,অধ্যাপক ফেরদৌস আরা। এসময় আরও উপস্থত ছিলেন উপাধ্যাক্ষ প্রফেসর মহিউদ্দিন,ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি মু.রিপন মিয়া,সাধারন সম্পাদক, জুয়েল মোড়ল নাট্যদলের সভাপতি, ওলিউল্লাহ তুহিন সহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলে লক্ষ্য করা যায় প্রায় ৪০ প্রকারের পিঠার সমাবেশ। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য নারকেল পুলি,ফুল ঝুড়ি,ডিম সুন্দরা, তিলের পিঠা,পাটি সাপটা,মালপোয়া,লিচু পিঠা, দুধ পলি,দোলশী পিঠা,জামাই পিঠা,সূর্যমুখী ঝাল,বরফি, পাকোড়া পিঠাসহ হরেক রকমের রসালো পিঠা।
নাট্য দলের সভাপতি ওলিউল্লাহ তুহিন জানান, এ উৎসবে আমাদের লক্ষ্য পাশ্চাত্য আকাশ সংস্কৃতি থেকে শিক্ষার্থী সহ সকলকে মুক্ত করে সবার মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলা। এ সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই রঙ বেরঙ্গের পিঠা তৈরিতে নিয়োজিত শিক্ষার্থীসহ যারা এই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।