ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা-২০২২ খ্রি. অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) টিএসসি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাকসুদ কামাল বলেন,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল বিভাগ।এই বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।বিভাগকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন,এখন প্রযুক্তির যুগ।এই বিভাগের উচিত হবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইতিহাস চর্চাকে বেগবান করা।
অতিথি ও বিভাগের বিশিষ্ট শিক্ষকদের বক্তব্যের পর বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।বিভাগের কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়দের মাঝে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ ফুটবলের চাম্পিয়ান পুরস্কার।দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই শুরু হয় জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জানা গেছে, প্রায় পুরো টিএসসি ছিলো এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দখলে।ফলে এটি এরকরম মিলনমেলায় পরিণত হয়।এসময় দীর্ঘদিন পর একে অপরকে দেখে অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, “আজকের এই নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা-২০২২ খ্রি. উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, এই বিভাগের সাথে তিল তিল করে জমা হয়েছে শত সহস্র স্মৃতি।মাস্টার্সের সিআর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কলাভবনের নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত ক্লাসরুম খোঁজার মধুর স্মৃতি মিস করব।আসলে বিদায় কথাটি বড়ই বেদনার।ডিপার্টমেন্টের প্রিয় শিক্ষকদের সান্নিধ্য, সহপাঠী বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতেই হৃদয়টা দুমড়ে মুচড়ে উঠছে।তবে এ বিদায় চিরবিদায় নয়,জীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্তিতে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা মাত্র।প্রকৃতি কখনো শূণ্যস্থান পছন্দ করেনা।আমাদের বিদায়ের সাথে সাথে নবীনদের শুভাগমন হয়েছে।নবীনদের জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও শুভকামনা ”
বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ,প্রবীণ শিক্ষক ও বহু ভাষাবিদ অধ্যাপক ড. মোঃ ইব্রাহিম, অধ্যাপক ড. আয়শা বেগম,অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক, ড. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান খান,অধ্যাপক ড.আবদুর রহিম,অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম,অধ্যাপক ড.খাদেমুল হক,অধ্যাপক ড.মফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এটিএম সামছুজ্জোহা,ড.মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ ওমর ফারুক ও মিসেস নাজমা প্রমুখ।