ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. খেলাধুলা

এবারের বিশ্বকাপে ৬ মুসলিম দেশ অংশ নিচ্ছে

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
১৭ নভেম্বর ২০২২, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

ইতিহাসের আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছে কাতার বিশ্বকাপ। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপ। এই প্রথম কোনও মুসলিম দেশে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এবারের বিশ্বকাপে মোট ৬টি মুসলিম দেশ অংশ নিচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের মুসলিম দেশগুলি

কাতার

আয়োজক দেশ হিসেবে রয়েছে কাতার। কাতার জাতীয় দলের জার্সিং রং মেরুন। কাতারের ফুটবল ইতিহাসও বেশ বৈচিত্র্যময়। ১৯৭০ সালে বাহরাইনের মাটিতে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচ খেলেছিল কাতার। যদিও সেই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল কাতার।

তারপর থেকে এশিয়ান কাপে কাতার একটি বড় নাম। ২০১৯ সালে এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল কাতার। তবে বিশ্বকাপের আঙিনায় এর আগে দেখা যায়নি কাতারকে।

১৯৭৪ সালে যোগ্যতা অর্জন করেও বিশেষ কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল কাতার। এবার আয়োজক দেশ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাচ্ছে কাতার।

সেনেগাল

পশ্চিম আফ্রিকার একটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশ সেনেগাল। প্রায় ১৯৭০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে বিস্তূত সেনেগালের একটা বড় অংশ ফুটবলের ভক্ত। ১৯৫৯ সালে সেনেগালের জন্ম হলেও ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তা ছিল ব্রিটিশ কলোনি। ১৫ মিলিয়ন মানুষের বাস সেনেগালে। ফুটবলে জায়ান্ট কিলার। সাদিও মানের মতো ফুটবলারের জন্ম দেওয়া সেনেগালের এটা তৃতীয় বিশ্বকাপ ফুটবল।

 

প্রথমবার সেনেগাল বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে ২০০২ সালে। প্রথম আবির্ভাবে শেষ ষোলোয় পৌঁছে যায় তারা। যদিও সেখান থেকেই বিদায় নেয় ‘তেরাঙ্গা লায়ন্স’ (এই নামেই ডাকা হয় সেনেগালিজদের)।

 

 

সউদি আরব

আরও এক মুসলিম দেশ হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে চলেছে সউদি আরব। সমুদ্র বেষ্টিত সউদি আরব প্রথমবার বিশ্বকাপের আঙিনায় খেলে ১৯৯৪ সালে। তার আগে ১৯৩০ সাল থেকে ’৩৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলের অন্তর্ভুক্ত ছিল না সউদির ফুটবল। ১৯৫৮ থেকে ’৭৪ সাল পর্যন্ত সউদি আরব বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও খেলেনি। ১৯৭৮ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সউদি আরব।

 

কিন্তু ১৯৯৪ সালে আমেরিকা বিশ্বকাপে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়। ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ তিনবার পর পর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয় সউদি আরব। ২০১০ ও ’১৪ দু’টো বছর যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সউদি আরব, রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয় সউদি আরব।

 

মরক্কো

৩৪ মিলিয়ন জনসংখ্যাযুক্ত উত্তর আফ্রিকার এই মুসলিম ফুটবল দলটি এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সদস্য। মরক্কো ফুটবল দলকে সবাই ‘অ্যাটলাস লায়ন্স’ নামে ডাকে। বিশ্বকাপের আঙিনায় মরক্কো নতুন দল নয়। এর আগে মোট পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলেছে উত্তর অফ্রিকার এই মুসলিম দেশটি। ১৯৭০ সালে মরক্কো প্রথমবার বিশ্বকাপের আঙিনায় খেলে। গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয়। ১৯৮৬ সালে মরক্কো শেষ ষোলোয় উঠেছিল। ১৯৯৪, ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে উঠলেও গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয় মরক্কো। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও মরক্কোকে দেখা গেলেও সেখানেও গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নিতে হয় আফ্রিকার এই দেশটিকে। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করলেও তেমন পারফরম্যান্স দিতে না পারা মরক্কো অবশ্য নেশনস কাপে প্রতিবারই বড় দলগুলিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। ১৯৭৬ সালে তারা নেশনস কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক সলিডিটারি গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মরক্কো।

 

 

ইরান

পশ্চিম এশিয়ার একটি সমৃদ্ধ দেশ ইরান। ‘পারসিয়ান লায়ন্স’ নামে খ্যাত ইরানের ফুটবল দল। এশিয়ান ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে ইরানকে দেখা হয়। এশিয়ান কাপের অন্যতম শক্তিধর দেশ ইরান। তিনবার এশিয়ান কাপ জয় ও ফুটবলে রেকর্ড সংখ্যক চারবার এশিয়ান গেমসে সোনা পেয়েছে ইরান। বিশ্বকাপের আসরে মাত্র ৬ বার দেখা গিয়েছিল ইরানকে। প্রথমবার ইরান বিশ্বকাপ খেলে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার মাটিতে। গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয় এশিয়ার এই মুসলিম দেশটি। এরপর বিশেষ কারণে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে বাতিল হয়ে যায় ইরান। ১২ বছর পর ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে বিশ্বকাপের আসরে যোগ্যতা অর্জন করেও গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নেয় ইরান। ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নেয় ইরান। এবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও ওয়েলসের সঙ্গে রয়েছে ইরান।

 তিউনিশিয়া

এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আর এক মুসলিম দেশ আফ্রিকার তিউনিশিয়া। বিশ্ব ফুটবলে ‘কার্থেজ ইগলস’ নামে পরিচিতি তিউনিসিয়া। নেশনস কাপে তাদের দাপট বেশ ভালোই। একবারই আফ্রিকান নেশনস কাপ জিতলেও তিউনিসিয়া নেশনস কাপে প্রতিবারই বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় তিউনিসিয়া। ফিফা আরব কাপও একবার জিতেছিল তিউনিসিয়া। বিশ্বকাপে তিউনিসিয়ার প্রথম আবির্ভাব ১৯৭৮ সালে। এরপর ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছে তিউনিসিয়া। এটি তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ।

319 Views

আরও পড়ুন

নাইক্ষ্যংছড়িতে অসহায়দের মাঝে ১১ বিজিবির ইফতার বিতরণ !!

কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ ছফুরা পেলেন নতুন ঘর

রাজশাহী নগরীতে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।

সড়ক দুর্ঘটনা

দোয়ারাবাজারে ট্রাক চাপায় শিশু নিহত

উদ্বোধন করলেন-সাংসদ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম
চকরিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারের শুভ উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে- প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার

ভাগিনাকে ফাঁসাতে নিজ ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা অতঃপর সিআইডি

গাইবান্ধায় ৩ দিনব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা ও রিপোর্ট রাইটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

শার্শায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

নাগরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন

রমজানের গুরুত্ব ও বৈজ্ঞানিক উপকারিতা :