ঢাকাবুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

শুভ জন্মদিন, মাদার অব হিউম্যানিটি।

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৮:০৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!


বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা গর্বিত আপনার মতো এমন এক মহান নেতাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পেয়ে। মহান আল্লাহর কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনগ্রসর জাতি-দেশ-জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র, বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি আজ বিশ্বনেত্রী, বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক অবিজ্ঞাত, শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্বদান এবং সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে তার সমকক্ষ কেউ নেই। বঙ্গবন্ধুর মতো তার চরিত্রে মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসা, সততা, দক্ষতা, ধৈর্য ও ক্ষমতাশীলতার বিশেষ গুণ বিদ্যমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম হয়েছিলো বলেই আজকে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। একইভাবে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের মহান স্থপতির রক্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পরতো না। বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত পেত না। গণমানুষের নেত্রী, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার, গণতন্ত্রের নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা আজ জন্মদিন।
আজ বিশ্ব নেতা হিসেবে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সংকল্পবদ্ধ। আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত আপনার মত এমন একজন সকল বিচক্ষণ মমতাময়ী মানুষ কে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পেয়েছি।শেখ হাসিনার গোটা জীবন নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রম হচ্ছে। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী শেখ হাসিনা ছাত্রজীবন থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ের দাবিতে রাজপথে অগ্রণী সৈনিক। দূরদর্শিতার চিহ্ন যিনি ইতিমধ্যে রেখে চলেছেন সারা বিশ্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির দর্শন, চেতনা আর মানবতাবাদী পদক্ষেপ সারা বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আলোকবর্তিকা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন তিনি। শান্তিতে নোবেল জয়ীদের ভূমিকা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন বিশ্বের মানচিত্রে শান্তির পতাকা হাতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিশ্ব সভায় শান্তির বারতো পৌছে দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ের মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের মধ্যমণি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার উদারতা ও মানবকিতা বিশ্ব নেতারা প্রশংসা করেছেন। বিশ্বের শক্তিশালী গণমাধ্যমগুলোও জননেত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্য মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধিতে দিয়েছেন। তাছাড়া ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অশান্ত পাহাড়ে শান্তির বার্তা দিয়েছেন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নামের আগে পরে কোন বিশ্লেষণ যোগ করার দরকার হয় না। এক কঠিন সংগ্রামের পথ বেয়ে নিজ প্রতিভায় বিকশিত তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ১৯ বার তাকে হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে, শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। পথ হারানো জাতি দিশা পেয়েছে। সে কারণে তাকে হত্যার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়। তবে বেঁচে গেছেন যেন অলৌকিকভাবে। মহান স্রষ্টার সমস্ত কৃপা বুঝি তার প্রতি অপরিসীম। তাই ঘাতকের ঘৃণ্য তৎপরতা কাজে আসেনি।

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, আজ ৭৬ বছরে পদার্পণ করলেন। জন্মদিনে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আমাদের পক্ষ থেকে। তিনি দীর্ঘায়ু হোন, শতায়ু হউন এই কামনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের। জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সহজ-সরল মহত্ত¡ রয়েছে, যা সকলের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আকর্ষণ করে। নানা ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে জাগ্রত তিনি। সমগ্র জাতিকে নিস্ক্রিয়তা, নির্জীবতা, বিমূঢ়তা থেকে মুক্ত করার জন্য দীর্ঘ লড়াই তিনি অব্যাহত রেখেছেন। সংগঠক হিসেবে নিজ দলকে এবং দেশকে করে তুলেছেন গতিশীল। তিনি বাঙালীর প্রতীক এবং পুরো দেশের প্রতিনিধি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।দেশের উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি ভালো থাকলে বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে, দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকবে। দেশবাসীর কাছে একটাই চাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন যেন সব বিপদ, আপদ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে পারেন এবং হেফাজতে রাখেন। কারণ আজকের বাস্তবতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। তিনি হচ্ছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকা, সার্বভৌমত্ব ও বাঙালি জাতির রক্ষক।
আমি ধন্য আমরা ধন্য আপনার কর্মী হতে পেরেছি, মহান আল্লাহর কাছে আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক:
আলিম আল তারিফ।
উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,ঢাকা মহানগর দক্ষিন।

275 Views

আরও পড়ুন