‘কাফনের কাপড় ব্যবসায়ী, মানুষ মরলেই তার রুজি-পুঁজি জুটে! চিড়িয়াখানায় দেখা যায়, বাঘের খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে জ্যান্ত মুরগী!’ অর্থাৎ একটি প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সজ্ঞানে আরেকটি প্রাণের বিসর্জন!
এভাবে প্রতিনিয়ত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই জীবন-মৃত্যুর চক্র খেলা করছে! প্রাণের বেঁচে থাকা আরেক প্রাণের ত্যাগ আর বিয়োগের ফসল।
ক্ষনিক সময়ের এই ভাগ্যরেখায় সবাই মুৃত্যুকে বরণ করে, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, কেউ আগে আর কেউ পরে!
মানুষ জানে তাকে যেকোনো মুহুর্তেই চলে যেতে হবে দুনিয়া ছেড়ে।
অথচ স্বল্প সময়ের এই যাত্রায় অন্যের হাসি-স্বস্তি সহ্য করতে পারেনা অনেকেই!
ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে অতীত টেনে কথার প্যাঁচএ বা অন্যকে লেলিয়ে দিয়ে!
সন্দেহ- সংশয়ের বেড়াজালে ফাটল ধরছে মুমিনের শীশাঢালা প্রাচীরে। সংশোধনের পথে বিষপাষ্প ছড়িয়ে, স্বার্থ টেনে পরসমালোচনায় নিজেকে জাহির করছে।
যাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে তৃপ্তির হাসির ঢেকুর তুলে মজা লুটছে তার আগেই যে নিজের চলে যেতে হবে না, এর কি কোনো ইয়ত্তা আছে!
নিজে অর্জন করতে পারেনি, নিজে নষ্ট হয়েছে বলে অন্যকেও ধ্বংস করবে ষড়যন্ত্র করে!, এইসব নষ্ট মানসিক চিন্তার গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
এইতো আর ক’টা দিন, সবাইকেই চলে যেতে হবে। এরপর আছে মহাহিসাবের দিন।
অন্যের প্রতি শোষণ না করে প্রত্যেকের প্রাপ্য হক আদায় করে নিজের পুণ্যের পুঁজি অর্জনে তৎপর হওয়া, আড্ডায় বসলে পর সমালোচনায় মুখর না হয়ে নিজেদের আত্মশুদ্ধি অর্জন করা জরুরী।
মুৃত্যুকে স্মরণ করে তার জন্য সদা প্রস্তুত থেকে, শব্দ ও কর্ম প্রয়োগে সচেতন হয়ে, পরকালের জবাবদিহির অনুভূতি লালন করা দরকার।
মহান আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করুন। জান্নাত উপযোগী মানুষ হওয়ার তাওফিক দান করুন।
লেখা : তানবীরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়