আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পত্রিকার পাতায়, টিভির পর্দায় শিশু বলৎকার’র খবর মাঝে মধ্যে দেখা যায়। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গ্রাম্য ভাষায় একটা কথা আছে, সাদা কাপড়ে দাগ বেশি পড়ে, অর্থাৎ কালো কাপড়ে দাগ পড়লে সেটা দৃষ্টিগোচর হয় না, কিন্তু সাদা কাপড়ে একটু দাগ লাগলে দূর থেকেও সেটা লক্ষ করা হয়। অন্য সব জায়গাতে ও শিশু বলৎকার এর ঘটনা ঘটে। যেটা হয়ত মিডিয়াতে কম আসে।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু কিছু হিফজ মাদ্রাসায় দুশ্চরিত্রের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলৎকারের অভিযোগ পাওয়া যায়। যার কারনে সকল হিফজ মাদ্রাসা, শিক্ষক এবং আলেমদের উপরে সাধারণ মানুষের একটা কু-ধারনা চলে আসে। অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তি কয়েকজন। শুধু মাত্র এসব লম্পট শিক্ষকের কারনে, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের মাদ্রাসায় দিতে দ্বিমত পোষণ করে থাকে।
বাংলাদেশ একটি অনারব দেশ হওয়ার পরেও, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সম্মানিত হাফেজ সাহেব গণ আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনে। সাম্প্রতিক সৌদি আরবে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়, দুবাই,ইরাণ,মিশর, তুরস্ক সহ বিশ্বের ১১১ টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে তৃতীয় স্হান অধিকার করেন, হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীম। ২০১৭ সালে দুবাই প্রতিযোগিতায় ১০৩ টি দেশের মধ্যে প্রথম স্হান অধিকার করেন, হাফেজ তরিকুল ইসলাম। এছাড়াও কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয় করেন, হাফেজ নাজমুছ সাকিব, হাফেজ সাইফুর রহমান,হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ অসংখ্য হাফেজগণ। এইসব হাফেজদের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম যথাযথ রয়েছে। আমাদের এই সুনাম যেন কোনভাবেই অক্ষুন্ন না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের নৈতিক চরিত্র ঠিক আছে কিনা, সেটি বাধ্যতামূলক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন দুশ্চরিত্রের অধিকারী শিক্ষক যেন নিয়োগ না পায়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারন এমন চরিত্রহীন শিক্ষক দেশ,সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্যান্সার। তাই, প্রশাসন সহ যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে আছে,যদি কোন অপ্রতিকর ঘটনা দেখা যায় তখন তাদের বিরুদ্ধে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে, যা হয়ে থাকবে চির স্বরনীয়।
মো. আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী,ফেনী সরকারি কলেজ,ইংরেজী বিভাগ।