——–
কারাগারের স্তব্ধ ঘরের মানুষের বেদনা-
কান্নার আওয়াজ,
আমি উন্মুক্ত নগরীতে বুঝতে পাচ্ছি,
পাঁজরের ব্যথায় কুঁকড়ে খাচ্ছে আমায়।
দর্জি পাড়ায় শোকের মাতম,
চুরির অপরাধে অভিযুক্তকে গণপিটুনি,
দেড় বৎসরের কন্যার মুখে দুধের আয়োজনে-
বিধবার মরা দেহটা পড়ে আছে।
নিষিদ্ধ পল্লীতে অসহায় চিৎকার,
সকিনার অপেক্ষায় নেশাখোর স্বামী-
গতরের মূল্যে চুকাতে হবে ঋণ,
তাতেও বাকী থাকে মুদির দোকানে।
সড়কে আজ মৃত্যু মিছিল,
কানাইয়ের বাছাধন পিষ্ট চাকায়,
বৈশাখী বিবির পা ভাঙলো-
নীতিনির্ধারকেরা চুপ! ঘুমাচ্ছে আরামে।
করোটিকা ভাঙার শব্দে,
ঘুম থেকে জেগে উঠেছি,
ভালো নেই এই জনপদের মানুষ-
মরলেই যেন বাঁচে।
জীবনের গল্পের খসড়ায় ব্যস্ত আমি,
বয়সের রেখা গুলো যদি পেন্সিলে আঁকা যেত,
খুবই ছোট থেকে যেতাম-
সকিনার দেড় বৎসরের বাচ্চা।
আহত পাখির উপর শকুনের নজর,
পাঁজরের ব্যথায় অচেতন হয় যাচ্ছি,
জীবন থেমে যাক-
ফুরিয়ে যাক জীবনের কথাগুলো।