ঢাকাশুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

অনিয়মিত ইউরোপ ফেরতদের প্রতি অপবাদ ও বৈষম্য কমাতে সিফারের মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্ট

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৭:৩১ অপরাহ্ণ

Link Copied!

ঢাবি সংবাদদাতা

ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক বা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসা অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রতি নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্ক কমানো এবং সমাজে তাদের সফল পুনঃএকত্রীকরণে, একটি নতুন অপবাদ-বিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে। দ মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প বিদেশফেরত অভিবাসী ও জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে প্রচারণাটি এগিয়ে নেবে। একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক উদ্যোগ ‘সিফার’ আগামী পাঁচ মাসব্যাপী এই প্রকল্পটি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করছে। এটি অভিবাসীদের জেনে-বুঝে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন করে।

এই প্রচারণার লক্ষ্য, ইউরোপফেরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মনো-সামাজিক সহায়তা (সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট) এবং সমাজে তাদের সফল পুনঃএকত্রীকরণে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করা। এরই অংশ হিসেবে ২০০ জন বিদেশফেরত অভিবাসী মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্টের অভিজ্ঞ ও পেশাদার কাউন্সেলিং দল থেকে বিনামূল্যে ও গোপনীয় কাউন্সেলিং সেবা পাবেন। অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ (ফর্মের লিংক: https://malto crm.org/bn/forms/181) করে অথবা সরাসরি কাউন্সেলরদের ফোন করে (+880 1537-315770, +8801969-835505) অভিবাসীরা এই কাউন্সেলিং সেবা পেতে পারেন।

বিদেশফেরতরা যে ধরনের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয় সেগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা এবং দেশে ফেরার পরে সামাজিকভাবে যেসব অপবাদের মুখোমুখি হয় তা কমাতে প্রচারণাটি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।

সিফার’র গবেষণা বলছে, ইউরোপ থেকে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশি অনিয়মিত অভিবাসীরা প্রায়ই নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের মুখোমুখি হন। প্রায় অর্ধেক অভিবাসী নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে বেশ খারাপ আচরণের সম্মুখীন হয়ে থাকে।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২১ সালের একটি গবেষণা আরও বলছে, ইউরোপে যাওয়ার জন্য পরিবার থেকে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করা হয়, তাই অভিবাসীরা যখন খালি হাতে ফিরে আসে তখন বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হয় না। এর মধ্যে অনেককেই বিদেশে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, শোষণ, কঠিন কাজ ও নানান বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে একজন অভিবাসী অত্যন্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগতে থাকেন।

ফ্রান্সফেরত একজন পুরুষ অভিবাসী বলেন, ‘আমি জানতাম মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন হবে। আমি ইউরোপে যেতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। সবাই এখন এই ব্যর্থতা এবং অর্থ অপচয়ের জন্য আমাকে দায়ী করে। আমাকে বিদেশ পাঠাতে আমার বাবা-মা তাদের জমি-জমা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন।’

সিফার’র গবেষণা বলছে, যেসব দেশ থেকে অভিবাসীরা অনিয়মিতভাবে সবচেয়ে বেশি ইউরোপে যায়, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০২১ সালে প্রায় নয় হাজার বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও কোভিড ১৯ মহামারীর কারণে অসংখ্য অভিবাসীকে ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’র (আইওএম) একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৯৬% বিদেশফেরত বাংলাদেশি অভিবাসী চাকরির সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত আয় ও আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন।

আরেক বিদেশফেরত যিনি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে গিয়েছিলেন তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে এর মানে আপনি একজন ব্যর্থ। মানুষ আপনাকে করুণা করে, বন্ধুরা আপনাকে নিয়ে হাসে। পরিবারের সদস্যরা কখনই বুঝতে পারে না, আপনি কীভাবে এত বছর ইউরোপে বেঁচে ছিলেন।’

140 Views

আরও পড়ুন

নাগরপুরে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত 

শেরপুরে কুড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক !!

মহেশখালীর পঙ্গু নুর আলমের ভাতা হ্যাকারদের পেটে!

বুটেক্সে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু ৮ মে

মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

লোহাগাড়ায় বহুতল ভবন থেকে পড়ে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বগুলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন

মহেশখালীতে ভাইচ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহির উদ্দিনের প্রার্থীতা স্থগিত

দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত

শেরপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কলেজ ছাত্রের আ’ত্ম’হ’ত্যা

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আবারো জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় !!