আশরাফুর রহমান রাহাত, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আউলাই শাহবাজপুর গ্রামের গফুর কাজীর পুত্র শিপন কাজী (২৫) গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে নিখোঁজ হয়। ১৩ই সেপ্টেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। সাধারণ ডায়েরী তদন্তে গিয়ে পুলিশ আরিফ নামের এক যুবককে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই গ্রামের মহুরীর বাড়ির পিছনের পরিত্যক্ত ল্যাট্রিন থেকে ১৬ই সেপ্টেম্বর রাতে শিপনের লাশ উদ্ধার করে নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তিশা (২২) ও তার মা লাভলী বেগম (৪০) কে আটক করে। এ ঘটনায় তিশার ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহ নেওয়াজ (ইমন) বলেন,পুলিশ নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়ে হত্যার আলামত খুঁজে পায়। যার কারণে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরিফের স্বীকারোক্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুকুল বলেন,ধারনা করা হচ্ছে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের কারনে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য।
শিপনের বাবা গফুর কাজী বলেন,আমার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। আরিফ ও তিশার সাথে কি নিয়ে সমস্যা ছিল তা আমার জানা নেই। শিপন গত ১২ তারিখ রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। আমি নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরী করেছিলাম। পুলিশ সেই ডায়েরীর সূত্র ধরে আসামীদের গ্রেফতার করেছে। যারা আমার ছেলেকে এভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।