ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের শাস্তির দাবি ৬৬ সংগঠনের

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৬ আগস্ট ২০২২, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা (ঢাবি)

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহণের যাত্রীবাহী নৈশ বাসে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ৬৬ টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট, ২০২২ তারিখ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে- কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহণ যাত্রীবাহী নৈশ বাসে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা য়ায়, গত ২ আগস্ট, ২০২২ তারিখ কুষ্টিয়ার প্রাগপুর থেকে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেল থেকে খাবার বিরতি শেষে যাত্রা শুরু করলে পথে ১০-১২ জন তরুণ যাত্রীবেশে বাসে ওঠে এবং বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তারা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সকলের চোখ ও মুখ বেঁধে চালককে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা মুঠোফোন, টাকা, স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ৪ তরুণ দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ধরণের পৈচাশিক ও বর্বর ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

আমরা দেখেছি যে, বিগত বছরগুলোতেও বাসে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইতোপূর্বেও এই একই রুটে ছোঁয়া পরিবহন বাসে এমন একটি পৈশাচিক ঘটনার কথা আমাদের সকলের জানা। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহের এ সড়কটি নারীর জন্য বরাবরই অনিরাপদ। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মধুপুরের বনাঞ্চলের নির্জন এলাকায় গত ১৩ বছরে চারবার চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খুন হয়েছেন দুই নারী। অপরাধীরা সহজেই পালাতে পারছে বলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, গণপরিবহণ, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র নারী ও কন্যার প্রতি সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা বর্তমানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ঘটনাটিতে সড়ক পরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন ধরণের আশঙ্কা তৈরি হলো।

সবশেষে বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গণপরিবহণে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাপদ যাত্রী পরিবহণ ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণপরিবহন মালিক ও ড্রইভারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার জন্য এবং যাত্রীবাহী নৈশ বাসে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তকরণপূর্বক গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে এই ঘটনার শিকার যাত্রীদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে।

73 Views

আরও পড়ুন