ঢাবি সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় উক্ত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘নুরুল হক নুরকে ইতিপূর্বে নানা জায়গায় হামলা করে রুখে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সরকার রুখতে পারেনি। ছাত্রসমাজের সমর্থন নিয়ে নুরুল হক নুর বারবার হামলাকে মোকাবিলা করেছেন। এবার সরকার নতুন ফন্দি এঁটেছে, মামলা দিয়ে নুরকে ঠেকিয়ে দেয়ার। কিন্তু এবারও জনগণের সমর্থন নিয়ে নুরুল হক নুর তা মোকাবিলা করবেন।’
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাও। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শিকার আর কাউকে হতে দিবো না!’
ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, ‘সরকার তাদের শোষণকে দীর্ঘায়িত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার বানিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদি আইনকে অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলটা প্রত্যাহার করতে হবে।’
সমাপণী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ বলেন, ‘ডাকসুতে নির্মম হামলার মাধ্যমে নুরকে ও পরিষদকে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মোদিবিরোধী আন্দোলনে ৫৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে নুর ও পরিষদকে দমনের চেষ্টা করেছে। সব চেষ্টাকে ব্যর্থ প্রমাণ করে নুরুল হক নুর এগিয়ে চলেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নুরুল হক নুরকে গ্রেফতারের কোনো পাঁয়তারা করলে ছাত্রসমাজ ও জনগণ চুপ করে বসে থাকবেনা।’
সমাবেশে ঢাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ প্রায় শ’খানেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।