ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথনকে সরকারবিরোধী কাজ ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফকে থানায় দিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। উক্ত ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনতন্ত্রহীনতার নিদারুণ চিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায় ও সাধারন সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ সাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় অনুসন্ধান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ নয়। বরং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও তার পরিপূরক গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই প্রশাসনের কাজ। ভিন্ন দল মত ধারণ করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন কর্তৃক ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আবাসন সংকটকে জিম্মি করে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক দলীয় কর্মসূচিতে নেওয়া ও গেস্টরুম নির্যাতনের কোনো ঘটনারই কোনো বিচার হয় না অথচ ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করায় হল প্রাধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দের ঘটনা প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন দলদাস চেহারার উন্মোচন ঘটিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার সারাদেশে স্বৈরাচারী কায়দায় যে অব্যাহত দমন-পীড়ন-নির্যাতন পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসিত চরিত্রের জন্য লজ্জাজনক।’
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিচার ও গর্হিত কর্মকাণ্ডের জন্য জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে হল ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।