ঢাকা শহরে ২০ মিনিট অথবা আধা ঘন্টা মূষলধারে বৃষ্টি হলেই, বৃষ্টির পানিকে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। এর কারণ হলো পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব।
বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেন রয়েছে সে গুলোই পর্যাপ্ত নয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য যে অপর্যাপ্ত ড্রেন গুলো রযেছে সেগুলো সুষ্টু ব্যবস্থাপনার আওতায় পরিচালিত হয় না। যার দরুন দেখা যায় জলাবদ্ধতা।আবর্জনা আটকে থেকে সপ্তাহ পর সপ্তাহ ড্রেন বন্ধ হয়ে থাকে। তারপর অল্প বৃষ্টি হলে দেখা যায় ড্রেনের উপরে পানি চলে আসছে এবং এই জন্যই শহরের রাস্তা – গলি পানিতে ডুবে যায়।
এছাড়াও জলাবদ্ধতার অন্যান্য কারনসমূহ হলো ছোট ছোট পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো নিয়মিত পরিস্কার না করা। আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করা। রাস্তাঘাট সমূহ অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা,রাস্তার ধারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা। শহরের বিভিন্ন স্থান উচুঁ-নিচুঁ হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার সমাধানসমূহ হলো বিভিন্ন শহরে যে কর্তৃপক্ষ গুলো আবর্জনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহন করে,তারা নিজের কাজে যেন অবহেলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।জলাবদ্ধতার প্রধান কারনই হলো আর্বজনায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বিকল হয়ে যাওয়া, এজন্য এদিকেও খেলাল রাখতে হবে যাতে ড্রেন গুলো বন্ধ না হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে।
মোঃ কুতুব উদ্দিন
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সদস্য,জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার,কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স