বাজারের নিস্তব্ধ জায়গাটায় দ্বিতল বাড়ি,
রঙ উঠা খসখসে দেওয়ালে-
আগাছায় পরিবেষ্টিত চারপাশ,
মনে হয় ভুতের বাড়ি।
কতক চোখের মানুষের খোঁজ,
বেলকনির আরাম কেদারায় বসা মধ্যবয়সী নারী,
স্থির নয়নে তাকিয়ে থাকা বাজারের পথে,
মানুষ আসবে নিঃশব্দে।
জনৈক সভ্য মানুষের আগমনে,
রব উঠেছে রঙ উঠা বাড়ির অন্দরমহলে,
চুপিসারে দেহের মূল্য চুকিয়ে-
বাড়ির শেষদিকের কামরায় গমন।
খিল দেওয়া দরজার আড়ালে,
সভ্য মানুষের সুখের সন্ধান!
পাঁজরের সাথে পাঁজরের মেলবন্ধন-
সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটে অন্দরমহলে।
মধ্যবয়সী নারী ব্যস্ত খদ্দরের চাহিদা মেটাতে,
আলোহীন ঘরগুলোর মানুষেরা ব্যস্ত-
দেহের মূল্য চুকাতে,
জনৈক সভ্য মানুষের নিষিদ্ধ সুখে।
কাকতালীয় ভাবে জনৈক সভ্যের সাথে দেখা,
নতশিরে পলায়নপর চারটি পা,
স্তব্ধ হয়ে পড়েছে ঘর গুলো-
কালো ছায়াগুলো আর দুলছে না।
রঙ উঠা বাড়ির অন্দরমহলে,
আবারো নিষিদ্ধ আদিমতা চলবে,
জনৈক সভ্যজন চুপিসারে আবার আসবে-
আমার নতশিরে পলায়ন।
বাজারের নিস্তব্ধ জায়গাটায় দ্বিতল বাড়িতে,
নিষিদ্ধ সুখের আসরে,
দেহের মূল্যে সমাবেশ রচে-
জনৈক সভ্য মানুষের নিঃশব্দে গমন।