মো: শহীদুল্লাহ সজীব :
আজ শুক্রবার থেকে ঈদ উল আযাহার বন্ধ শুরু হয়েছে। সকালে বাসা থেকে বের হয় নিজ বাড়ী কাটিরহাট যাওয়ার জন্য। বাসা থেকে বের হয়ে সিএনজি ড্রাইভারদের যে সিন্ডিকেট। মুহুর্তে নতুনপাড়া থেকে কাটিরহাট ২৫০ টাকার রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। আর লোকাল কোন সিএনজি চলাচল করছে না! এরা সিন্ডকেট, যেতেই হবে এ ভাড়ায়!
এই জিনিস অবশ্যই নতুন না। তবে একটা ব্যাপার ভেবে অবাক হই কোভিডের কড়া লকডাউনের সময় যখন ‘গরিব রিকশাওয়ালারা’ কি খাবে- এই ভেবে ফুটপাথে এদের ডেকে ডেকে খাবার, ডোনেশন দেয়া হচ্ছিল বিভিন্ন এলাকায় সেই সময়েই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ১০-২০ টা রিকশা ডেকেও আমি পাই নাই!
এক রিলেটিভ মেডিকেল ভর্তি ছিল। মেডিকেলে সব পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। বাইরে অনেক পরীক্ষা করাইতে হয়েছিল। তখন মেডিকেল থেকে ২০ গজের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স হাজার টাকা ভাড়া অফার করেও রাজি করাতে পারি নাই। এরাই আবার অভাবের গল্প করে, আমরা গিলতে থাকি। কখনো অন্যের ক্রাইসিসে এদের চোখ ছলছল করে কি?
দুনিয়াটা গিভ অ্যান্ড টেক পলিসিতে চলে না, খুব ভাল করেই মানি। কিন্তু ঐ যে, মনুষ্যত্বের ব্যাপারটা বোধহয় একদমই নেই এখন বেশিরভাগের মাঝে। তেল, চাল, পেঁয়াজ, আলুর দোকানদার যেভাবে মজুদ করে দাম বাড়ায়, রিকশা-সিএনজিওয়ালারা যেভাবে জিম্মি করে ভাড়া আদায় করে, ট্রাফিকরা যেভাবে বিপদে ফেলে ঘুষ নেয়, ধর্মকে মাঝখানে রেখে দুই পাশে যেভাবে নোংরা খেলা খেলে একদল, নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত– দিনশেষে কেউ কাউকে ছাড়ে না!!
চায়ের দোকানে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা আড্ডাতে আমরা দিনভর আলোচনা করি- সরকার কতটা খারাপ, কর্তৃপক্ষ কতটা খারাপ। কখনো প্রশ্ন করেছি এই আমরা, এই আমজনতারা, এই সাধারণ মানুষরা, মানুষ হিসেবে কতটা ভালো?
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম… নিজের জন্য, সবার জন্য!
লেখক:
মো: শহীদুল্লাহ সজীব
সমাজকর্মী ও সংগঠক