মোঃ নাঈম মিয়া,(কিশোরগঞ্জ জেলা)প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে আবারো নদী ভাঙ্গনে দুটি চাতালমিলের প্রায় দুই শত ফুট জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শ্রমিকরা জীবন বাচাতে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। বার বার ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসিসহ চাতাল শ্রমিকদের। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৯ জুন তীব্র স্রোতের বাগানবাড়ি এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হলে তখন মিলের দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ দুইজন হলেন-রহমত রাইছ মিলের চাতাল শ্রমিক মোস্তাক ও মিস্ত্রী শরীফ দুইদিন পর তাদের লাশ উদ্ধার করে। তখন খবর পেয়ে ভাঙ্গনকৃত এলাকা পরিদর্শনে আসেন ভৈরব-কুলিয়ারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন এমপি। এসময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে নিখোঁজদের পরিবারকে নগদ বিশ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ঘটনার পর মাটি ভর্তি পলি ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে চেষ্টা চালায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে মাটি ভর্তি ব্যাগসহ প্রায় দুই শত ফুট জায়গা পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান চাতালের শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবসি সহ চাতাল মিলের শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অবিলম্বে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ক্ষতিগ্রস্তদের।
গত একমাস পূর্বে একই স্থানে ভাঙ্গনে বেশ কয়েটি স্থাপনা বিলিন সহ দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই থেকে মিলের শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। বর্তমানে চাতাল মিলের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত হয়ে পড়ে। মিলের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এলাকাবাসি চাতাল শ্রমিকরা বলেন, এক মাস আগে এ জায়গা নদীর ভাঙ্গনে চাতাল মিলের ২শ্রমিক তলিয়ে মারা গেছে। সে শোক না ভুলতেই গতকাল মধ্যরাতে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিলে যতটুকু পরেছি মালামাল ও সন্তানিাদিকে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পূর্বের ঘটনার পর পলি ব্যাগে মাটি ভরে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেছিলাম। আজ আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গন রোধ অচিরেই কার্যকরি ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।