বড় বড় দালানকোঠায় সুদৃশ্য নামফলকে,
গড়ে উঠে পাঠশালা মনুষ্যের মেধা বিকাশে,
যদু,মধু,রাম পড়ে নাম লেখালো সভ্যদলে-
পিছিয়ে পড়া রুইতনরা পড়তো সবারই সাথে।
পিতৃস্নেহ ভালোবাসায় পড়াতো নানান কিছু,
আগ্রহ ভরে শিখতো সবি-
কিসে জীবনের সার্থকতা,
নতশিরে শিক্ষক ভক্তি ভালোবাসা ছড়াতো তাতে।
বেত্রাঘাতে ছাত্র শাসন,
কাঁদাতো শিক্ষককে ,
বুকে টেনে ভালোবাসায় ভুলাতো যন্ত্রণা ক্লেশ,
মানুষ গড়ার পাঠশালাতে ভালোবাসা সর্বত্র বিরাজ।
দূর হতে শিক্ষককে দেখে-
নতশিরে দাঁড়িয়ে থাকা,
সালাম-আদব সম্মানেতে,
শিক্ষকদের স্নেহ পাওয়া।
সেকালে পাঠশালাতে মানুষের গমন ছিলো,
চরিত্র গঠন কিংবা বিদ্যার আশে,
শ্রদ্ধা ভক্তির কম ছিলো না,
মানুষ গড়ার মহান ব্রতে।
একালে আমাদের নগরে কতো পাঠশালা,
কত মানুষের গমন,
বিদ্যার নেশায় মত্ত কেউ-
কেউবা আবার লোকদেখানোর।
প্রকাশ্যে হুমকিতে জানান দেয় গুরুকে,
সব কিছু দেখতে নেই জনাব-
সব বুঝতে বুঝাতে নেই,
বিদ্যা অর্জন কিসের জন্য?
একালে কিসের নতশির,
কিসের শ্রদ্ধা-ভক্তি,
সিগারেটের ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গুরুর মুখ,
প্রকাশ্যে হুংকার চুপচাপ থাকো হে জনাব।
নতশিরে মনে হয় গুরুর প্রস্থান,
পাঠশালায় দাঁড়িয়ে বখাটের অট্টহাসি,
কলমের বদলে ওদের হাতে লাঠি-
কিসের সভ্য আর বিদ্যা অর্জন।
আজ চোরের কাতারে শিক্ষক দাঁড়িয়ে,
বেদনায় কুঁকড়ে বোবা আহাজারি,
পাঠশালায় বখাটেপনায় ছাত্র নামধারী,
সমাজের যত আবর্জনা।
একালে লাঠির আঘাতে শিক্ষক মরে,
বখাটের সমাবেশে অট্টহাসি,
কারো কিছু আসে না,
মরে যাক গুরুজন।
সেকালে একালে কতো পার্থক্য আজ,
কাদের জন্য এই পাঠশালা?
বখাটে নাকি মানুষের?
লাঠির আঘাতে কেন মরে গুরু জানা কি আছে আজ?