কাওসার আহমেদ ।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রায়ই নানামুখী কর্মশালার আয়োজন করতে দেখা যায়। কিন্তু এবার এক ব্যতিক্রমী কর্মশালার উদ্যোগ নিতে দেখা যায় বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমকে।
তিনি জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভুমিকা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানের উপর এক কর্মশালার আয়োজন করেন । আজ রবিবার ১২ জুন ২০২২ বান্দরবান পুলিশ লাইনে তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পুলিশ সদস্যদের মাঝে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও উদ্দীপনা যোগাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে নানামুখী কর্ম পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানা যায়। ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জাতিসংঘে জাতির পিতার ভুমিকা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানের মূল বিষয়গুলো ১ ঘন্টার কর্মশালায় উপস্থাপন করেন। পরে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্ন সাজিয়ে তাদের কাছ থেকে উত্তর নেয়া হয়। আর এরই মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে আগত পুলিশ সদস্যদের মন ও মানসিকতায় রেখাপাত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম এ কর্মশালার ব্যাপারে নিউজ ভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা অবদান, দেশ-রাষ্ট্র ও মানবাধিকার নিয়ে তার ভাবনা পুলিশ সদস্যদের মাঝে তুলে ধরা এবং তার রুপরেখা অনুযায়ী উদ্দীপনা জাগানো ও উৎসাহিত করার জন্য তিনি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ” আমরা যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখি নাই এবং পুলিশের মত একটি ব্যস্ত ডিপার্টমেন্টে চাকরি করার সুবাদে বই পড়া তেমন হয়ে উঠে না বিধায় সেইদিক থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার ভূমিকা ও জাতির পিতার বিভিন্ন অবদান ও চিন্তাধারা সম্বন্ধে পুলিশ সদস্যদের ধারণা দেয়ার জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন করেছি”। তিনি আরো বলেন, ” একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ায় এইরুপ কর্মশালা করার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে । সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট থাকি”।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বান্দরবানে যোগদানে পর থেকে জাতির পিতাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করার উদ্দেশ্য আরো ব্যাপক নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিস সম্মুখে জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মান, জাতির পিতাকে নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে কুইজ আয়োজন ও জাতির পিতার বই পুরস্কার প্রদান, জাতির পিতাকে নিয়ে বিভিন্ন দিবসে মিলাদ ও এতিমখানায় খাবার আয়জনসহ নানা কর্মসূচী গ্রহণ। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ‘এমন নানামুখী কর্মশালা ও তৎপরতার ফলে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা -চেতনার সাথে পরিচিত হয়ে উজ্জীবিত হবে তরুণ সমাজ, তরান্বিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ’ এমনটাই প্রত্যাশা পুলিশ সুপার আব্দুল হালিমের।