নেতা হবেন এমন যিনি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। মানুষ তাকে দেখে ভীতসন্রস্ত হয়না বরং অভিভাবকের ছায়া উপলব্ধি হয়।
কঠিন সময়েও যিনি আশার প্রদীপ হয়ে মানুষের মাঝে ভারসাম্য আনেন।
তার ব্যক্তিত্ব আর মৃদুস্বর শাসনে পাপিষ্ঠদের মন আতঙ্কিত হয়।
প্রশংসা প্রিয়াসু না হয়ে তরুণদের আদর্শ জীবন গঠনে তার দিকনির্দেশনা এবং কর্মপ্রেরণায় তিনিই হবেন বাস্তব সাক্ষী।
সাময়িক সমস্যা নিরসনে তাঁর প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টা দৃঢ়ভিত্তি হিসেবে পরিগনিত হবে।
যেকোন উপায়ে মসনদে বসে ক্ষমতার প্রতাপ দেখানো তার লক্ষ্য নয় বরং সুসময়ে বা দুঃসময়ে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
ক্ষমতা লিপ্সা মানুষের ব্যক্তিত্বকে নস্যাৎ করে এবং সেই রুচিহীন মানুষ জনগণের সেবক হতে পারে না।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের ভালোবাসা না পেলে সন্ত্রাসী মনোভাব সৃষ্টি হয়, আর তা নিজের ধ্বংসের কারণ হয়।
অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো, সাধারণ মানুষদের তাচ্ছিল্য বা হেয় করা, অন্যের প্রাপ্য অধিকার হরণ করা, আদর্শ নেতৃত্বের পরিচায়ক হতে পারে না।
প্রতিশোধপরায়ণা মন নিয়ে নেতৃত্বের অভিলাষী হলে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে জনমনে ; নেতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবনে।
আদর্শ নেতা ও নেতৃত্ব সৃষ্টিতে প্রয়োজন সহনশীল উপকারী মনোভাব এবং দূরদৃষ্টি।
ভাঙ্গন নয় গড়ার প্রতিই নেতার প্রচেষ্টা থাকবে।
মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা- মানবিকতায় শত্রুরাও বন্ধুত্বে উদ্বোদ্ধ হবে।
সার্বিক জীবনাচরণে ভারসাম্য, পরিবার -সমাজের প্রতি সময়-কর্তব্যনিষ্ঠা, তাকে অসাধারণ নেতৃত্বের সৌরভ লাভে ধন্য করবে।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, সচেতন, ইতিবাচক মনোভাব অধনস্তদের এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়।
নেতৃত্বে সৃজনশীলতা এবং আত্মসমালোচনা নেতার অদৃশ্য হাতিয়ার যা একটি লক্ষ্য অর্জনে চূড়ান্ত রূপায়ণ করে।
কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি,
সর্বোপরি পরমত সহিষ্ণুতা – প্রয়োজনে নমনীয়তা নেতৃত্বে স্থায়ী কাঠামো তৈরী হয় যা আদর্শ নেতার প্রতিচ্ছবি।
সৎ, দক্ষ এবং আদর্শ নেতৃত্বের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব।
তানবীরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।