ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

কোটচাঁদপুরের রাশেদুলের অর্থাভাবে মেডিকেল ভর্তি অনিশ্চিত।

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ আশাদুল ইসলাম,
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

রুহানীর পর এবার অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তির শঙ্কা তৈরী হয়েছে রাশেদুল ইসলামের (২০)। কিভাবে ভর্তির টাকা জোগাড় হবে এই চিন্তায় পড়েছে রাশেদুলের পরিবার। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অদম্য মেধার পরিচয় দিয়েছেন রাশেদুল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয়েছে তাঁর।

কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণে এখন বড় বাধা অর্থ। ভর্তি থেকে শুরু করে পরবর্তী পড়ালেখার খরচ কীভাবে জুটবে, এই চিন্তা এখন গোটা পরিবারের। বাবা মজনুর রহমান পাওয়ার টিলার চালক। অন্যের গাড়িতে কাজ করেন। মাঠে মাঠে জমি চাষ করেন। এভাবে যা আয় করেন, তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চলে না, সেখানে ছেলের পড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে এই চিন্তা তাঁর। পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা, অর্থের অভাবে ছেলের স্বপ্ন শেষ না হয়ে যায়। রাশেদুলদের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে। সামিয়া মরিয়ম (৭) নামের তাঁর আরেকটি ছোট বোন রয়েছে।

রাশেদুলের বাবা মজনু জানান, অভাবের সংসার তাঁর। নিজের মাঠে কোনো চাষযোগ্য জমি নেই। মাত্র ৯ শতক জমির ওপর ভিটেবাড়ি। মাটির এক কক্ষের ঘরের মধ্যে রাশেদুল পড়ালেখা করেন। আর বারান্দা ঘিরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুমান। বাড়িতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি আর কবুতর পালন করেন তাঁরা। মা ফিরোজা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাশেদুলের পড়ালেখার প্রতি খুবই আগ্রহ। সারাক্ষণ পড়ালেখা নিয়েই থাকেন। কখনো ছেলেকে পড়ার কথা বলতে হয়নি। বাড়িতে পড়ালেখা করেই সব সময় ভালো ফল করেছেন। কোনো পরীক্ষায় রাশেদুল দ্বিতীয় হননি।

মা বলেন, ‘ছেলের অনেক দিনের স্বপ্ন ডাক্তারি পড়ার। এখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু পড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। স্বামী কলের লাঙল চালিয়ে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন। বছরে ৪ মাস এই কাজ হয়। বাকি ৮ মাস বাড়িতে গরু লালনপালনের পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

রাশেদুল জানান, বাবা পড়ালেখার খরচ দিতে পারেন না, তাই কখনো প্রাইভেট পড়তে যাননি। বাড়িতে পড়ালেখা করেই ভালো ফল নিয়ে এসেছেন। রাশেদুর পার্শ্ববর্তী রামনগর কে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পাস করেন। একই গ্রামে অবস্থিত এ অ্যান্ড জে কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে না পারলেও আগের ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল জিপিএ-৫ এসেছে।

রাশেদুল আরও বলেন, এসএসসি পাসের পর অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছিলেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান লেন্টু টাকা দিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। রাশেদুল চিকিৎসক হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্ন পূরণে বিত্তবানদের সহযোগিতা চান তিনি। রাশেদুলের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৩০৩-৬৭৩১৩৭

78 Views

আরও পড়ুন

নাগরপুরে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন

শেরপুরে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও তার পরিবারকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে–খামেনি

নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি পরিবারের মাঝে

প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার

শার্শায় প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

নাগরপুরে নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে।

নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত

ঈদসংখ্যার গুরুত্ব কি হারিয়ে যাচ্ছে?

যদুনাথ রি-ইউনিয়ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৫ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন