জেমস আব্দুর রহিম রানা:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী শুক্রবার থেকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা পরীক্ষার কিটসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জিনোম সেন্টারের যন্ত্রপাতি ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন আমাদের প্রতিনিধি জেমস আব্দুর রহিম রানাকে বলেন, করোনা পরীক্ষার কিটসহ আনুষঙ্গিক উপকরণ পেয়েছি। ল্যাবে স্ট্যান্ডার্ড রান দিয়েছি। কিট ঠিকঠাক আছে কি না পরীক্ষা করছি। আশা করছি কাল ( শুক্রবার ) থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।
এর আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরীক্ষা করতে সম্মতি দিয়েছিল। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটি ল্যাবরেটরি ইনভেস্টিগেশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছিলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে।
উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন জানান, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। একসাথে এখানে ৯৬ জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করবে। তাদেরও প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ল্যাবটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২শ’ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে। দিনের দিনই পরীক্ষার ফলাফল তারা দিতে পারবেন।
ড. আনোয়ার জানান, যবিপ্রবি’র ল্যাবটি ইতিমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমণি এবং শিক্ষা সচিবের সাথেও তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথেও এ নিয়ে তার কথা হযেছে। উপাচার্য আরও বলেন, তাদের ল্যাবে শুধু পরীক্ষাই নয়, তারা দেশের যেকোনো স্থানে পরীক্ষা চালুর প্রশিক্ষণ দেয়ার সক্ষমতাও রাখেন। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারির এই দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।