নির্মল এস পলাশ, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে সফাত মিয়াকে(১৪) একই গ্রামের বাসিন্ধা চাঁন মিয়ার ছেলে লিটন নানা প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তাহখানেক পূর্বে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। সেখানে কাজ করতে না পেরে সফাত একাই বাড়িতে ফিরে আসায় লিটন সফাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ক্ষোভের জের ধরে ২৭ জুলাই শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় মধ্যভাগ বাজার থেকে ফেরার পথে সফাতকে লিটন তার সঙ্গীদের নিয়ে আতর্কিত ভাবে মারধর করে সফাতের নানাবাড়ির পাশে হাত পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ মুড়ানো অবস্থায় ধানি জমিতে ফেলে যায়। এ সময় পথচারীরা গোঙানোর শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সফাতের বাবা হামিদ মিয়া জানান, একই গ্রামের চাঁন্দু মিয়ার ছেলে লিটন এর সাথে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে চিটাগাং যায় শফাত। সেখানে সে কাজ সহ্য করতে না পারলে বাড়ি চলে আসে। তাদের ফেলে বাড়ি চলে আসার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে , লিটন , আরিক , লিটনের মা আবজান বিবি, বোন রেশমা প্রমুখ ধানী জমিতে তার হাত পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী ধলাই নদীতে নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষের আনাগোনা দেখে তার নানার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায়। রাত দেড়টায় আহত সফাতকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সফাত মিয়ার পিতা হামিদ মিয়া বাদী শনিবার ২৮ জুলাই দুপুরে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কমলগঞ্জে এক কিশোরকে হাত পা বেঁধে প্রাণনাশের চেষ্টা
