সাত্তার সিকদার, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী স্টশনে বেপরোয়া যাত্রীবাহী ইউনিক পরিবহনের ধাক্কায় ২জনের মৃত্যু ও এসময় দুই মটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছে।
৮ অক্টোবর (রবিবার) আনুমানিক বেলা পৌনে ২টার দোহাজারী স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোঃ আবদুল্লাহ (৩৫) ,কক্সবাজার সদর, দক্ষিণ দ্বীকপুল এলাকার আবদুল লতিফের পুত্র। তিনি অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে।
নিহত অপর ব্যক্তি মৃদুল নাথ (৫৮), চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা (১ নং ওয়ার্ড) চাগাচর ,নাথ পাড়ার মৃত চৈতন্য চরণ নাথের পুত্র। তিনি দোহাজারী স্টশনে ডিমের ব্যবসা করতেন। গুরতর আহত দুই মটরসাইকেল আরোহীর তৎক্ষণাৎ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীবাহী পরিবহন দোহাজারী স্টশনে একটি অটোরিকশা ও একটি মটরসাইকেল কে ধাক্কা দেয়। এসময় অটোরিকশা চালক ও অটোরিকশা আরোহী ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং মটরসাইকেলের দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিকশা চালক ও আরোহীর মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহত মৃদুল নাথের স্ত্রী দিপু রাণী দেবী জানান, প্রতিদিনের মত সকালে দোকানের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে যায়, দুপুরে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারি সড়ক দুর্ঘটনায় ২জন লোক মারা গেছে। সেখানে একজন আমার স্বামী। তিনি দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় ডিমের ব্যবসার পাশাপাশি বান্দরবান থেকে আদা এনে এলাকায় বিক্রি করতো। তাদের সংসারে ৫জন কণ্যা সন্তান রয়েছে।
ডিমের দোকানের বিক্রয়কর্মী ও নিহত মৃদুল নাথের ভাতিজা মিল্টন পাল জানান, আমার কাকা সকালে বান্দরবান থেকে আদা আনতে যায়। আদা নিয়ে ফেরার পথে দোহাজারী স্টশনে যাত্রীবাহী ইউনিক পরিবহনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যায়।
নিহত অটোরিকশা চালক মোঃ আবদুল্লাহ'র পিতা আবদুল লতিফ জানান, তার ছেলে অটো রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। ইউনিক পরিবহনের ধাক্কায় তার ছেলে ঘটনাস্থলে মারা যায় ।
দোহাজারী হাইওয়ে ওসি খান মোহাম্মদ এরফান জানান, চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীবাহী ইউনিক পরিবহনের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক ও এক আরোহী ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুই মটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘাতক বাস জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া ও নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০