খোসপাঁচড়া একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা সারকোপটিস স্ক্যাবিই নামক মাইট দ্বারা হয়। এটি ত্বকে প্রবেশ করে অস্বস্তিকর চুলকানি ও ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে।
লক্ষণ:
• রাতের বেলা তীব্র চুলকানি
• হাতের আঙুলের ফাঁকে, কবজিতে, কোমরে লাল ফুসকুড়ি
• পরিবারের অনেকের একই ধরনের উপসর্গ
সংক্রমণের কারণ:
• আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা
• একই বিছানা, তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার
প্রতিরোধে করণীয়:
• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
• ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আলাদা রাখা
• আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে চিকিৎসা নেয়া জরুরি
প্রাথমিক চিকিৎসা:
1. Permethrin cream 5% (পারমেথ্রিন ক্রিম)
•এটি সবচেয়ে সাধারণ ও কার্যকর চিকিৎসা।
ব্যবহার পদ্ধতি:
•গোসল করে শরীর ভালো করে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে।
•মাথা ছাড়া গলা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে (আঙুলের ফাঁক, নাভির চারপাশ, নখের নিচ, যৌনাঙ্গের অংশসহ) এই ক্রিম লাগাতে হবে।
•৮–১৪ ঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
•৭ দিনের মধ্যে আবার একইভাবে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে হয়।
2. Ivermectin
•গর্ভবতী নারী ও ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতা দরকার।
চুলকানি নিয়ন্ত্রণে:
3. Antihistamines
চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে রাতে।
জীবাণুমুক্ত রাখা:
• ব্যবহৃত জামাকাপড়, চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে বা কয়েকদিন প্লাস্টিক ব্যাগে রেখে দিতে হবে যাতে মাইট মারা যায়।
• পরিবারের সব সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা করা দরকার, কারণ এটি খুব ছোঁয়াচে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
• ১ সপ্তাহের বেশি চুলকানি থাকলে
• ওষুধ খেয়েও উপশম না হলে
• পরিবারের একাধিক সদস্য আক্রান্ত হলে
খোসপাঁচড়া একেবারে নিরাময়যোগ্য, কিন্তু চিকিৎসা না নিলে পুরো পরিবার আক্রান্ত হতে পারে! সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
লেখক : ডা: মো: তানজিলুল ইসলাম
এমবিবিএস(ডি.ইউ)সি.এম.ইউ(আল্ট্রা)এমসিজিপি
প্রভাষক,
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল