ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

স্ক্যাবিস: এক নীরব মহামারী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৩০ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

স্ক্যাবিস: এক নীরব মহামারী

তীব্র চুলকানিতে রাতের ঘুম হারাম? পরিবারের একাধিক জন হঠাৎ করে চুলকানিতে ভুগছেন? যদি এই উপসর্গগুলো আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে সাবধান হোন
এটা স্ক্যাবিস হতে পারে।

স্ক্যাবিস এক ধরনের ছোঁয়াচে চর্মরোগ। চোখে দেখা না গেলেও এর অস্তিত্ব ত্বকের গভীরে, এবং এটি অল্প সময়ের মধ্যে একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্ক্যাবিস কী?
স্ক্যাবিস হয় একটি অতিক্ষুদ্র পরজীবী Sarcoptes scabiei নামক মাইটের কারণে। এই মাইট ত্বকের নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে। এরপর সেখানে জন্ম নেয় নতুন মাইট, যা ত্বকে জ্বালা, ফুসকুড়ি আর অসহনীয় চুলকানির সৃষ্টি করে। বিশেষ করে রাতের বেলায় যখন শরীর গরম হয়
তখন এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায়।

কারা বেশি ঝুঁকিতে?
স্ক্যাবিস যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে বেশি দেখা যায়
শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে
হোস্টেল, মেস, বা শরণার্থী শিবিরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে
পরিবারের একাধিক সদস্য একই বিছানা বা তোয়ালে ব্যবহার করলে
গরিব বা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে
যাদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে না

প্রধান লক্ষণগুলো
স্ক্যাবিস শনাক্ত করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষন,যেমন:
রাতের বেলা তীব্র চুলকানি
আঙুলের ফাঁকে, কব্জি, কোমর, নাভির চারপাশে, বগল বা লিঙ্গের পাশে ফুসকুড়ি
সরু রেখার মতো গর্ত, লালচে দানা বা ফোসকা
একই পরিবারের একাধিক সদস্য আক্রান্ত হওয়া
শিশুদের ক্ষেত্রে হাত-পায়ের তালু বা মুখে পর্যন্ত ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
চুলকানির কারণে অনেক সময় জায়গাটা ঘা হয়ে যায়, পুঁজ বের হয়, এমনকি সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কীভাবে ছড়ায়?
স্ক্যাবিস সরাসরি ত্বক থেকে ত্বকে ছড়ায়।
একই বিছানায় ঘুমানো
একই পোশাক, তোয়ালে বা চাদর ব্যবহার
এই অভ্যাসগুলো স্ক্যাবিস সংক্রমণের জন্য দায়ী। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো,একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার বা হোস্টেল ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে, যদি সচেতনতা না থাকে।

প্রতিরোধই সবচেয়ে বড় চিকিৎসা:
স্ক্যাবিস প্রতিরোধে কিছু সহজ কিন্তু জরুরি অভ্যাস রপ্ত করতে হবে;
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: প্রতিদিন গোসল করুন। কাপড় ধুয়ে রোদে শুকান। বিছানাপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
ব্যক্তিগত জিনিস ভাগাভাগি নয়: তোয়ালে, বালিশ, কম্বল, চাদর—এই জিনিসগুলো ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখুন: একই ঘরে হলেও তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র আলাদা করুন এবং নিয়মিত রোদে শুকান।
পরিবার বা রুমমেটদের সচেতন করুন: একজন আক্রান্ত হলে অন্যদেরও সতর্ক করুন। সবাই মিলে প্রতিরোধ না করলে এই রোগ চলে গেলেও আবার ফিরে আসবে।
শেষ কথা:
স্ক্যাবিস কোনো অভিশাপ নয়। এটি প্রতিরোধযোগ্য, নিয়ন্ত্রণযোগ্য
শুধু প্রয়োজন সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা এবং দায়িত্বশীলতা।
নিজ থেকেই শুরু হোক প্রতিরোধ।

লেখক;নজির নোবেল
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ

শুভ

558 Views

আরও পড়ুন

চাকসুতে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে নতুন প্যানেলের আত্মপ্রকাশ

কউক ম্যানেজ করে স্থাপনা বহাল রেখছি - লিমন
সৈকত পাড়ায় মরিয়ম রিসোর্টের পাশে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ লিমনের বিরুদ্ধে।

ছাতকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে দ্রুত স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

আমার ভোট আমি দিবো, আপনাদের এই গনতান্ত্রিক অধিকার যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে-ড.মঈন খান

আমার ভোট আমি দিবো, আপনাদের এই গনতান্ত্রিক অধিকার যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে-ড.মঈন খান

দুদিনের জ্বরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইডেন শিক্ষার্থী স্বর্ণা

চাকসু নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের বৈঠক

পরিবেশ, হাওর ও জলাভূমি রক্ষায় যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য

টেকনাফে র‍্যাব-বিজিবি’র যৌথ অভিযানে সাড়ে৩লাখ ইয়াবা উদ্ধার,আটক-১

দূর্গা বিসর্জনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে র‍্যাব ১৫ কক্সবাজার

মধ্যনগরে গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন অজয় কুমার রায়

ছাত্রদলের আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের সময় ১ দিন বাড়ালো

চাকসুতে প্রার্থী হচ্ছেন সাদিক কায়েমের ছোট ভাই আবু আয়াজ