ঢাকাশুক্রবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

সর্পদংশনের কার্যকর চিকিৎসা পেতে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এম এ ফয়েজ:

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস। ৫ম বারের মত পালিত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সর্পদংশনের কার্যকর চিকিৎসা পেতে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা’ (‘Challenges and Barriers to Accessing Effective Treatment’)। বাংলাদেশে বহুদিন ধরে সর্পদংশন নীতিগতভাবে একটি স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। সর্পদংশন জরিপ তথ্য ১৫ বছরের পুরানো, নতুন জরিপ চলছে; সাপের তথ্য অপর্যাপ্ত। একটি জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে একাধিক সেক্টরের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। বাংলাদেশে সর্পদংশন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পৃথক কোন কর্মসূচি নেই। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ কার্যত অস্তিত্বহীন। অন্যান্য জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির মতো সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন মেডিকেল কোর্সে সর্পদংশন বিষয়ে শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ ন্যূনতম। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অংশগ্রহণ সীমিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালে প্রণীত কৌশলপত্রের আলোকে বাংলাদেশে সর্পদংশনের কৌশলপত্র ও অর্থের ব্যবস্থাসহ সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা (২০২৩-২০২৮) সম্প্রতি প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে ২০৩০ সাল নাগাদ সর্পদংশনে শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যু ও অক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এতে ৪টি কর্মকৌশল আছে – ১) কমিউনিটি কে ক্ষমতায়ন ও নিয়োগ করা; ২) এন্টিভেনমসহ কার্যকর নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; ৩) স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর সফল করা; ৪) অংশীদারীত্ব, সমন্বয় ও সংস্থান বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে সর্পদংশনের কার্যকরী চিকিৎসা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ ও বাধার মধ্যে রয়েছে উপজেলা হাসপাতালে এন্টিভেনম ও লজিষ্টিকের অপ্রতিহত প্রাপ্যতা, নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত রোগী পরিবহন ও দক্ষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের উপস্থিতি। কিন্তু মনে হয় প্রথাগত নিরাময়কারীদের (‘ওঝা’) কার্যহীন-ক্ষতিকর চিকিৎসার উপর জনগোষ্ঠীর বড় ধরণের আস্থার মনোভাব আছে যা পরিবর্তন করা সব চেয়ে বড় বাঁধা।

উদাহরণ স্বরূপ ১লা সেপ্টেম্বর একজন তরুণ পুরুষ রোগী প্রথাগত নিরাময়কারীর চিকিৎসা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে স্নায়ুতন্ত্রের উপর বিষের মারাত্মক উপসর্গসমূহ নিয়ে আসেন। যেখানে এন্টিভেনম দেয়ার পরে রোগীর অবস্থা এতোটা উন্নতি হয়েছিল যে রোগী যখন পরবর্তী রেফার করা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে ছিলেন, তখন উপস্থিত চিকিৎসক ভেবেছিলেন যে এটি একটি অবিষধর সর্পদংশন কারণ স্নায়ুতন্ত্রের উপর নিউরোটক্সিক বৈশিষ্ট্যগুলি ইতোমধ্যে পুরোটাই অদৃশ্য হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত বাড়িতে আসার পর রোগী আবার ক্ষতিকারক ও আকেজো চিকিৎসা পেতে ২য় বারের মত প্রথাগত নিরাময়কারীর কাছে ফিরে যান।

সর্পদংশনের পর কার্যকর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কমিউনিটিকে জ্ঞানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ ও ক্ষমতায়ন করার বিকল্প নেই। কমিউনিটির মনোভাব পরিবর্তন করে সর্পদংশন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মৌলিক বিষয়সমূহ সঠিক প্রয়োগ করতে সরকারের পাশাপাশি সুশীল সমাজ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

অধ্যাপক মেডিসিন, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ও ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন।

404 Views

আরও পড়ুন

রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতা ফারুকসহ তিন কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতি প্রমাণিত, দ্রুত বিচার দাবি

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে কিশোরীকে গনধর্ষণ : আটক ২ যুবক

সিডিএ’র আইন উপদেষ্টা হলেন মানবাধিকার আইনবিদ জিয়া হাবীব আহসান

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার,কর্মসূচী স্থগিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র আরএমটিপি এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেডের সেবা বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর কর্মশালা

শান্তিগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা শহিদ মিয়া গ্রেফতার

ফ্যাসিস্টের পতন হলেও বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে-মিজান চৌধুরী

আরাফাত রহমান কোকো গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
ডুলাহাজারা ফুটবল একাডেমিকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সম্মিলিত উজানটিয়া ফুটবল একাদশ

ফিলিস্তিনের পক্ষে তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীর ‘মার্চ মুভমেন্ট’, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ দাবি

জামালপুরে মাদকাসক্ত ছেলের দা’র কোপেই মায়ের মৃত্যু 

কাপাসিয়ার হিন্দু যুবক রাজশাহীর এক মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম ধর্ম ত্যাগ ও বিয়ের নামে প্রতারণা করে উধাও