গত বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঈদগাঁও নিউজ ডকমসহ কয়েকটি নিউজ পোর্টালে ‘রশিদ নগরে স্বাস্থ্যকর্মীর ভুল চিকিৎসায় সন্তান জন্ম দেয়ার ১ ঘন্টা পরেই প্রসুতি মায়ের মৃত্যু শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন রামু উপজেলাধীন রশিদ নগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেদ্র কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং আমি একটা বড় চক্রান্তের স্বীকার ।আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯ টার দিকে এক প্রসূতিকে প্রচন্ড ডেলিভারি ব্যাথা নিয়ে (FWC)তে নিয়ে আসে স্বজনরা। এসময় রোগীর আগের ৩বাচ্চার ইতিহাস নিয়ে জানা যায় প্রথম দুই বাচ্চা নরমালে হয় ৩য় বাচ্চা সিজার এবং রোগীর কথা অনুযায়ী রশিদ নগর FWC তে আসার আগে নাকি তাহাকে বাহিরের অন্য হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি জন্য চেষ্টা করে ও ঔষুধ প্রয়োগ করে এমতাবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়।সব ধরনের ইতিহাস জানার পর প্রসূতিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেপার করি।এরপর প্রচন্ড ডেলিভারি ব্যাথা থাকার কারনে বাচ্চা স্বাভাবিকভাবেই ডেলিভারি হয়ে যাচ্ছে ওই সময় স্বজনদের আহাজারিতে কেন্দ্রে কর্মরত মিডওয়াইফ সহ আমি চিকিৎসা করতে বাধ্য হয়। চিকিৎসা করার সময় মা-বাচ্চার কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেদ্রের কর্তৃপক্ষ দায়ি নিবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা করা হয়েছে,অঙ্গীকারনামায় রোগী ও স্বজনদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। ডেলিভারি হওয়ার পর মা ও বাচ্চা সুম্পূর্ন সুস্হ ছিল। একঘন্টা পর মা জানাই তার বুকে ব্যথা লাগতেছে ঐ মুহূর্তে সাথে সাথে রেফার করে দেওয়া হয়।পরে শুনা যায় যে মা মারা যায়। এই ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করে চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করিয়া, চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডেকে আমাদেরকে ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সহ আমাদেরকে প্রায় তিনশ মানুষের সম্মূখে মারধরের হুমকি দেখিয়ে আমাকে আটক করে নগদ ২০ ( হাজার) এবং বাকী ১ লক্ষ ৩০ (হাজার) টাকার অর্থ অনুদান বলিয়া আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৩শ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন।তাই আমি এবিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুষ্ট বিচার চাই।
তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে যা উল্লেখ করা হয়েছে এর সাথে একটি পক্ষ নিজেরাই এমন ভুয়া,মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে এবং মানহানির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এতে সামাজিক, মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি। উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি আছেন। অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে পারেন না বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদ কারী
জন্নাতুল ফেরদৌস ঝুমকা,
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা,
রশিদ নগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেদ্র।