ফারুক আজম :
কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল গরীব অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের সেবায় অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই হাসপাতালটি গরীব অসহায় মানুষের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সেবার দরজা খোলা রয়েছে ২৪ ঘন্টা। মানুষের সেবা প্রদানে এই হাসপাতালটি বদ্ধপরিকর, আগামীদিনে এই প্রতিষ্ঠান সমাজের সকল মানুষের সহযোগিতায় বদরখালী সহ পার্শ্ববর্তী সকল ইউনিয়নে উন্নত চিকিৎসা সেবায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হন।
কম মূল্যে সেবা পাওয়ার আশায় সাধারন মানুষ ছুটে আসে এই হাসপাতালে। শত শত গরীব অসহায় রোগী সুচিকিৎসার অভাবে এবং আর্থিক সংকটের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই আর্ত মানবতার সেবায় হতদরিদ্রদের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কায়ের মিন্টো। তিনি আরো জানান, মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন সবাই। নিজে বাঁচুন এবং সবাইকে বাঁচান।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা বদরখালী পুলিশপার্টি সংলগ্ন হাসপাতালটি ২০১৮ সাল প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাকিবুল হোছাইন ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখায় অসহায়, গরীব, হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের কাছে মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় মানবতার সেবক হিসাব হিসাবে পরিচিত।
বর্তমানে ৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার, ১০জন অভিজ্ঞ নার্সসহ ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়ে বেসরকারি এ হাসপাতালটি দৃঢ়চিত্তে মানবসেবায় অগ্রণী ভূমিকায় অংশগ্রহণ করছে।
হাসপাতালটিতে দ্রুত আপদকালীন সময়ে যে কোন দুর্ঘটনা, রোড এক্সিডেন্টে আহত ও মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সবসময়ই একধাপ এগিয়ে। হাসপাতালটির নিজস্ব এ্যম্বুলেন্স দ্বারা ২৪ ঘন্টা রোগীদের সেবা প্রদান করে আসছেন। এ হাসপাতালটি শুধুমাত্র মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেনি। হাসপাতালের লভাংশ প্রদান করা হয় মানবতার সেবায়।
বর্তমানে এই বেসরকারি হাসপাতালে সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের অত্যাধুনিক প্যাথোলজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফী, ও ডিজিটাল এক্সরে বিভাগ খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ডাক্তার, নার্স ও এমার্জেন্সি বিভাগ খোলা থাকে।
এছাড়া বিশেষ বিশেষ দিনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়। দীর্ঘ ৪ বছর বেসরকারি এ হাসপাতালটি গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০