এম এ মোতালিব ভুঁইয়া: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ৮নং বোগলাবাজার ইউনিয়নের সব ক’টি গ্রামীণ রাস্তকাঘাটের বেহালবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।অনেক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট গুলো মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় এবং এবারের কয়েক দফা ভয়বহ বন্যায় ছোট সড়ক গুলো একাধিক স্থানে ভেঙে গিয়ে এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরো কালভার্ট ও ব্রিজ গুলো ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে। আর এ কারণে ই এলাকার মানুষজনের ভোগান্তির অন্ত নেই।
সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, বোগলাবাজার-বাংলাবাজার সড়ক, বোগলাবাজার-বাগাহানা হয়ে কাঠালবাড়ি ভায়া ভাঙাপাড়া রাস্তা, বোগলাবাজার-বাগানবাড়ি রাস্তা, বোগলাবাজার-ইদুকোনা রাস্তা, বোগলাবাজার বাঘমারা রাস্তাসহ ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের যাতায়াত সড়কগুলো চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া পাহাড়িঢলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে বড়োবড়ো ভাঙনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে। ১৫/২০ বছর ধরে কাঁচা ও আধাপাকা গ্রামীণ সড়কগুলো মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলোই যেন বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
রাস্তাঘাটের এমন বেহালদশা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই এলাকার বাসিন্দা আবু বকর ছিদ্দিক লিখেন, বোগলা থেকে পূর্ বাংলাবাজারের রাস্তা যেন দেখার কউ নেই। দীঘ চার মাসেও আলমখালি ইদুকোনা ক্যাম্পেরঘাট অংশের চিলাই নদীর ভাঙনে একটি সাকুরও প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা।
মনিরুল হাসান জীবন মন্তব্য করেন, দেখার অনেকেই আছে, কিন্তু করার কউ নেই। আর যারা করতে পারবেন তারা এইসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন না। আবার কউ কেউ দেখেও না দেখান বেক ধরেন।
আবদুল মান্নান মাস্টার বলেন, আমাদের ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামীণ সড়কের এখন বেহালদশা। আমাদের আসলে দেখার কেউ নেই।
গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলোর এমন বেহালবস্থা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টিতে সব ক’টি রাস্তাঘাটের বেহালদশার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষেকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বর্ডারহাটের রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে।