ঢাকামঙ্গলবার , ২২ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

শোক হোক শক্তি এবং সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়-মোঃ রিয়াজ উদ্দিন 

প্রতিবেদক
জুবায়েদ মোস্তফা
১৬ আগস্ট ২০২৩, ৯:৪২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

 

শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বরং মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম ঘৃণিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট। যেই দিনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়- যে নৃশংসতার কোন তুলনা নেই। তাই বাঙালি জাতির জন্য ১৫ই আগস্ট একটি কালো অধ্যায়। প্রতিবছর এদিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মার মাগফিরাত ও স্মরণে শোক দিবস পালন করা হয়। এই শোকাবহ দিন আমাদের মন কে উদ্বেলিত করে যা প্রকাশের কোন ভাষা নেই। কিন্তু শোক মানুষকে এক ধরনের শক্তিও দেয়। মানুষ শোককে শক্তিতে রুপান্তারিত করতে পারে। শোক মাতমই ই থেকে যায় যদি না শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত না করা হয়। শোক শক্তিতে পরিণত করতে, আমাদের পর্বতসম সাহস, বজ্র কন্ঠের অধিকারী, সাগরের মত হৃদয়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা-চেতনা ও আদর্শের অনুসারী হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বির্ণিমানে আমাদের সবাইকে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্ননিয়োগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানবতার মা হিসেবে পরিচিত, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। মুজিববর্ষে জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও আদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী তোফায়েল আহমেদের বর্ণনাতে আসে। “বঙ্গবন্ধুর প্রথম বিদেশ সফর ছিল ‘৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সফরসঙ্গী হিসেবে দেখেছি কলকাতায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা। ২০ লক্ষাধিক মানুষের উদ্দেশে বক্তৃতার শেষে কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই। এই ভালোবাসা অমোঘ, অকৃত্তিম ও অমৃত, আজ ও বাংগালীর শিরায় উপশিরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লক্ষ্য করা যায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরন ও শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে, তরুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন পাঠে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে, তার আদর্শে আদর্শিত হতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। গ্রিক মিথের সেই ফনিক্স পাখির ন্যায় বঙ্গ কন্যা, শেখ হাসিনা, ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে কঠোর হাতে, বিশ্ব নেতাদের চোখে চোখ রাঙিয়ে দেশ শাসন করছেন। শোক থেকে তরুন প্রজন্মের শিক্ষা হলো শোককে শক্তিতে রুপান্তর করতে হবে। দেশকে সোনার বাংলা গড়তে সত্যিকারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করতে হবে।

 

লেখকঃ শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

388 Views

আরও পড়ুন

বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা সুজনের মানববন্ধন

ইসলামপুরে সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ স্বচ্ছ রাজনীতির চর্চায় ঐক্যবদ্ধ

কাপাসিয়ায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ

কাপাসিয়ায় নবাগত লেখক ও সাংবাদিকদের সাথে সাংবাদিক ফোরামের মতবিনিময় সভা

নীলফামারীতে হবে চিন সরকারের হসপিটাল: স্বাস্থ্যের ডিজি

ঝিনাইগাতীতে কূপ খনন করতে গিয়ে নিহত দুইজনের পরিবারের পাশে বিএনপি

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্রাইট স্টার মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বর্ষবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

জুরীতে ২৫ নারী উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু ও তাঁত শিল্প সামগ্রী বিতরণ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

চট্টগ্রাম পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণার্থীদের স্কাউটসের ওরিয়েন্টেশন কোর্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়তায় জবি ছাত্রদলের হেল্প ডেস্ক