——–
শিশির ভেজা কুয়াশা মাখা ভোরে
সাদা চাঁদর ঠেলে অবরোধ,
ঝলমলে হেসে ওঠা সোনালি রোদ
হাসির রঙধনু ছড়ায় গ্রামে শহরে।
সবুজ বৃক্ষে পল্লব ঝড়ে পড়ার গান
রুক্ষ-শুষ্ক ফাঁটা ঠোটের কোণে,
জমে হাসি কোন এক নীরব গোপনে
খুঁজে পেতে চায় নতুন কোন প্রাণ।
আলতো বাতাস বয়ে চলে বাহিরে
ছুটে চলা মানুষদের বেরিয়ে পরা,
কর্ম ব্যস্ততার আবরনে ধরা
চাইলেও পারবেনা আসতে ফিরে।
বিকেলের মৃদু রোদের হাতছানি
সমুদ্র তীরে কাটানো একটু সময়,
প্রানবন্ত করে চায়ের কাপের ধোঁয়ায়
ঝলকিত উচ্ছ্বসিত হওয়া ঢেউয়ের পানি।
ছাতিম ফুলের মিষ্টি সুবাসে
কোন অজানা স্মৃতি মনে পরে,
কড়া নারে অতীতের আল্পনা ঘরে
জ্বলে ওঠে শিশির ভেজা ঘাসে।
চারদিক পিঠা খাওয়ার আমেজ
হলুদ রঙা সর্ষে ফুলে মাতোয়ারা,
মনোরম পুষ্প ঘ্রানে প্রান্তর ভরা
নতুন বসন্তে প্রান হয়ে যায় সতেজ।
পড়ন্ত বিকেলে সাগর পাড়ে একা হাটা
মনে এনে দেয় অনাবিল শান্তি
মুছে যাবে যদি থাকে কোন ক্লান্তি
কষ্টের সমুদ্রে ভাঙবে বাঁধ;পরবে ভাটা।
শীতল অনুভূতির পরশে এটাই স্বার্থক
প্রকৃতির সব টুকু আনন্দ অনুভব করে,
ছড়িয়ে দিবে তার চেয়েও বেশি সবার তরে
মানবতা শান্তির প্রতীক ফুটুক, নিপাত অনর্থক।