——-
খর গ্রীষ্মের বৈশাখ কিংবা জৈষ্ঠে
প্রখর রৌদ্রে গাত্র চামড়া পুড়িয়ে
শত কোটি জনতার খাদ্য জোগান দিতে
কৃষকরা ক্লিষ্ট শ্রম দিয়ে যাচ্ছে,
ক্ষুধা- তৃষ্ণা কৃষকদেরও আছে
আছে কৃষকদেরও প্রাণ।
নিবন্ত মধ্যাহৃে ব্যাথাতুর বুকে
ঘর্মস্রাবী ললাটে তৃষ্ণার্ত ফেরীওলা
হেঁকে চলেছে গ্রাম- গঞ্জে, পথে প্রান্তরে,
দু’বেলা দুমুঠো ভাত ডাল রোজগার
ও একটু বেঁচে থাকার তাগিদে।
আকাশচুম্মী বহুতল ভবন শ্রমিকরা
আপন কলেবর বাজি রেখে নির্মাণ করে
অথচ সেই শ্রমিকের মানব জনব ধূলায় রটে।
শ্রমিকের দেহ থেকে রক্ত- মজ্জা চুষে
বিত্তশালী সমাজ বিলাস ব্যসনে নিমগ্ন।
তপ্ত দহনের পাশে কাজ করা কামার
পর গৃহে ঝি’র কাজ করা শীর্ণ সে মহিলাও,
ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশুশ্রম দিতে বাধ্য
অনাথ কিংবা অভাবি পরিবারের
শিশুটারও জীবন আছে
আছে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা।
কৃষক, শ্রমিক, ফেরিওলা ও দিনমজুরের
হৃদপিণ্ডের ক্রন্দনধ্বনি ও আর্তচিৎকারে
প্রতিনিয়ত আকাশ- বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে।
তবুও শ্রমিক দিবসে প্রশ্ন জাগে মনে
এ বঞ্চনার শেষ কি হবে?