রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে যতই কথা বলা হোক না কেন, আসল কাজ শুরু হয় রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব সংস্কার থেকে। দলের ভিতরে যখন গণতন্ত্রের কোনো স্থান থাকে না, তখন সেই দলের নেতৃত্ব জাতির জন্য কেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে? যুগের পর যুগ ধরে একই নেতৃত্ব, একই প্রক্রিয়া—যেখানে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক চিন্তাধারা বা দক্ষতার কোনো মূল্যায়ন হয় না।
নমিনেশন দেওয়া হয় ক্ষমতার দাপটে বা টাকার বিনিময়ে, কমিটি গঠন হয় গোপন চুক্তির মাধ্যমে—এগুলো কোন গণতন্ত্রের চর্চা নয়। একটি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা যতদিন না প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনও গণতান্ত্রিক সংস্কার টেকসই হবে না।
রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, শুধু পদ ও ক্ষমতার রাজনীতি নয়, নেতৃত্বের যোগ্যতা ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন, দলগুলোর ভেতরকার এই পচন দূর করা, নইলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতিটি উদ্যোগই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে হলে, প্রথম সংস্কার করতে হবে আমাদের রাজনৈতিক মনন ও কাঠামোতে।
এখন সময় এসেছে দলগুলোর নিজেদের ঘরকে সঠিকভাবে সাজানোর। কারণ রাজনীতির ভীত শক্ত না হলে রাষ্ট্র সংস্কার কেবল কাগজে লেখা বাক্যই থেকে যাবে।
লেখক: আতিক সুজন
ম্যানেজিং ডিরেক্টর এজিএমএম সফট
সভাপতি চট্টলা ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০