--------
তোমার সাথে পরিচয় সেই মাধ্যমিক ক্লাসে যখন পড়ি তখন থেকে। ফুটন্ত গোলাপের মত তোমার মৃদু চাহনি আমার হৃদয়ে তখন এক টুকরো ভালোবাসার জন্ম দিয়েছিলো। কোন কিছু না ভেবেই তোমাকে জানিয়েছিলাম আমার পছন্দের কথা। সেই মাধ্যমিক স্কুল থেকে কলেজ,কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর গন্ডি প্রায় শেষের দিকে। সুদীর্ঘ এই ১০ বছরের খুনসুটি ভালোবাসা এখন পরিনত ভালোবাসা হতে অধীর অপেক্ষা ও প্রার্থনা।১০ বছরের ভালোবাসা তো রত্নখচিত ভালোবাসাই। ভালোবাসি তোমায় রৌদ্রের নীলঅঞ্জনা দিয়ে। কখনও বকুলের মালা তোমায় দিতে পারি নি কিন্তু একবার ডায়রির ভাজে একটি বকুল ফুল গুজে দিয়েছিলাম। সেই বকুল ফুলের ঘ্রাণ আজও আমি পাই।তোমার কি মনে পড়ে আমরা কত লাজুক ছিলাম? স্মৃতি আজও বয়ে বেড়ায় অতীতকে।
লিপস্টিকে জড়ানো তোমার দুটি ঠোঁট, কাজল কালো দুটি চোখের অমায়িক চাহনি,দেশীয় বেগুনি শাড়ির উজ্বল রঙের সুশ্রী মুখ,মেকাপহীন ত্বকের গোলাপী আভায়
যেন স্বর্গীয় সুধা নেমে এসেছে তোমার বুকে,রত্নের ঐশ্বর্যে তোমার সৌন্দর্যের এ ঝর্ণা ধারা অনন্ত অবিরাম। আমার কাছে তোমার সৌন্দর্য্য পৃথিবী বিখ্যাত লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আকা ছবি মোনালিসার চেয়েও সুন্দর।
তোমার অদৃশ্য অনুভূতি প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে ভাবতে শেখায়। পৃথক ক্যাম্পাসে থাকার কারনে তোমার সাথে ভালোবাসার খুনসুটির কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে। কিন্তু অন্তরে যে ভালোবাসা জন্মেছে তোমার প্রতি তা একমাত্র বুঝতে পারবে স্নয়ং সৃষ্টকর্তা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দোয়া কবুল করবেন এই শুভ কামনা।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই চারটি বছরে খুব কম সময় তোমার সাথে দেখা হয়েছে,কিন্তু তোমার প্রতি এক বিন্দু ভালোবাসা কমে যায় নি।বরং তোমাকে না দেখার বেদনা প্রতিনিয়ত আমাকে কুড়ে কুড়ে কষ্ট দেয়।এই বার্তা পৌঁছাতে চাই তোমার কাছে "ভালোবাসি তোমায় অন্তরের নিভৃত কোন থেকে। বাকিটা জীবন তোমার ভালবাসার মর্ম স্পর্শে দু'জনে একসাথে কাটাতে চাই "।
লেখক-
কে.এম.তারেক আজিজ সুমন
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০